সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে পবিত্র এই নদীটির দূষণের মাত্রা চরমে ঠেকেছে। তাই নদীতীরের বাসিন্দাদের অভিযোগ, অতিরিক্ত দূষণের কারণে মানবেতর জীবন পার করতে হচ্ছে তাদের। বাড়ছে দূষণজনিত রোগের মাত্রা।
স্থানীয় একজন বলেন, 'অনেকেই যমুনা নদীতে প্রার্থনা করতে আসেন, তবে এখনকার পানি স্নানের উপযুক্ত নয়। যখন বন্যা হয় অথবা পানি অনেক বেশি থাকে তখনই কেবল পানি পরিষ্কার থাকে। স্বাভাবিক সময়ে পানি অনেক ময়লা থাকে।'
নয়াদিল্লীর চাহিদার প্রায় ৬০ ভাগ পানির যোগান আসে যমুনা থেকে। অপরদিকে প্রায় সমপরিমাণ বর্জ্য নদীতে এসে পড়ছে। বিশেষ করে কলকারখানার বর্জ্য। এতে কোনভাবেই কমানো যাচ্ছে দূষণের মাত্রা।
নদী তীরবর্তী এক বাসিন্দা বলেন, 'যমুনা নদীর ময়লা পানি থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায়। মাঝেমধ্যে খাবার পানি থেকেও তীব্র দুর্গন্ধ পাওয়া যায়। আর গোসলের পানিরও একই অবস্থা।'
তথ্য বলছে, প্রতিদিন রাজধানীর প্রায় বিলিয়ন লিটার বর্জ্য পয়নিষ্কাশন হয় এই যমুনা নদীতে। দুর্বল ব্যবস্থাপনার জন্য এর অর্ধেকও শোধন করা হয় না। এই অপরিশোধিত আবর্জনা নদীর দূষণ যেমন বাড়াচ্ছে তেমনি পরিবেশের ক্ষতি করছে স্থায়ীভাবে।
তাই যমুনা নদীর পানিদূষণ স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে সঙ্গে উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলছে পরিবেশবিদদেরও।