চালের মূল্যস্ফীতি ১৫ শতাংশ কমানোর চেষ্টায় এ পদক্ষেপ বিজেপি সরকারের। ডাল, আটা ও গম বিক্রিতেও নেয়া হয়েছে একই পদক্ষেপ।
ভারতে ঊর্ধ্বমুখী চালের দাম
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এক বছর আগের তুলনায় বর্তমানে খুচরা বাজারে চালের দাম ১৪.৫ শতাংশ এবং পাইকারি বাজারে ১৫.৫ শতাংশ বেশি। রপ্তানিতে বিধিনিষেধ আরোপ ও খোলা বাজারে বিক্রির পদক্ষেপ নিয়েও নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি চালের দাম। এমন পরিস্থিতিতে চালের মূল্যস্ফীতিতে লাগাম টানতে উদ্যোগী কেন্দ্রীয় সরকার।
বাজারে ভর্তুকিতে 'ভারত চাল'
মূল্যস্ফীতি ১৫ শতাংশ কমানোর লক্ষ্যে বিশেষ ভর্তুকি দিয়ে চলতি সপ্তাহেই বাজারে ছাড়া হবে 'ভারত চাল'। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি ২৯ রুপি কেজি দরে প্রথম ধাপে পাঁচ লাখ টন চাল খুচরা বাজারে ছাড়বে নয়া দিল্লি। ৫ ও ১০ কেজি করে এ চাল মিলবে বাজারে।
হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, নিত্যপণ্য আইনের আওতায় একইদিন থেকে প্রতি শুক্রবার বাসমতি, সাদা বাসমতি, আধাসেদ্ধ, খুদসহ সব ধরনের চাল ও ধান মজুতের তথ্য প্রকাশ করতে হবে ব্যবসায়ীদের। চালের মজুতের ওপর নির্ভর করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে যে বিকল্প শস্য হিসেবে গম মজুতেও সরকার সীমা বেঁধে দেবে কি না।
ভারতে ভর্তুকিতে ডাল-আটা
বর্তমানে ভারত ডাল ও ভারত আটা কর্মসূচির আওতায় ভর্তুকি দিয়ে প্রতি কেজি ৬০ রুপি দরে বুটের ডাল এবং ২৭.৫ রুপি দরে আটা বিক্রি করছে নয়া দিল্লি। আর উদ্বৃত্ত মজুত থেকে খোলা বাজারে ব্যবসায়ীদের কাছে এখন পর্যন্ত সাত লাখ টনের বেশি গমও বিক্রি করেছে কর্তৃপক্ষ।
মূলত নির্বাচন সামনে রেখেই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে মরিয়া ভারত সরকার। ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রতি কুইন্টাল চাল সাড়ে তিন হাজার রুপির বেশি দামে কিনেও বর্তমানে তা খুচরা ব্যবসায়ীদের দিচ্ছে ২৯শ' রুপি দরে।