মার্কিন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বলছে, চলতি বছরের ২৯ জুনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার ৪ শিখ নেতাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। হরদীপ সিং নিজ্জারকে হত্যার পর দিনই যুক্তরাষ্ট্রে থাকা পান্নুনকে হত্যার ছক কষে ষড়যন্ত্রকারীরা।
তাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে নিখিল গুপ্তা নামে এক ভারতীয়কে গ্রেপ্তারও করেছে যুক্তরাষ্ট্র। একই ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে আরেক ভারতীয় কর্মকর্তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে মার্কিন আইন বিভাগ। তবে সেই অভিযুক্তের নাম এখনও প্রকাশ করেনি দেশটি।
এর আগে কানাডার অভিযোগ আমলে না নিলেও যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগের ভিত্তিতে উদ্বেগ জানিয়েছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর জানায় , এ ঘটনা খতিয়ে দেখতে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে।
ভারতের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে, দু'দেশের কৌশলগত সম্পর্ক ঠিক রেখে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে অভিযোগ তদন্ত করা হবে বলে জানায় মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ।
সংস্থাটির মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, অবশ্যই ভারত কৌশলগত অংশীদার। সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে কাজ চলছে। একই সঙ্গে বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছি। তবে ভালো খবর হচ্ছে ভারতীয়রাও এই অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয়দের সংখ্যা প্রায় ৫০ লাখ। আর কানাডায় ১৫ লাখের কাছাকাছি। বিশ্লেষকরা বলে মনে করছেন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয়দের সংখ্যা বেশি হওয়ায় মার্কিনীদের অভিযোগ আমলে নিচ্ছে দেশটি।
প্রসঙ্গত গেল ১৮ জুন শিখনেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে চিড় ধরেছিল ভারত–কানাডা সম্পর্কে। তবে ভিসানীতি শিথিলের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্কের বরফ গলে নভেম্বরে।





