বায়ুদূষণে বিপর্যস্ত ভারতের দিল্লি। গত কয়েক বছর ধরেই শহরটির বায়ুমান তলানিতে। বিশ্বের সবচেয়ে বিষাক্ত বায়ুর তালিকায় শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছে একাধিকবার।
অতিরিক্ত জনসংখ্যা, যানবাহনের কালো ধোঁয়া, শিল্প কারখানার ধোঁয়া, নির্মাণকাজের জন্য দিনদিন বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে দিল্লি শহর। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে উত্তরাঞ্চলের রাজ্য পাঞ্জাব থেকে ভেসে আসা খড়কুটার পোড়ানোর বিষাক্ত বাতাস।
এতে চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছেন দিল্লির বাসিন্দারা। রাজ্য সরকারের তথ্যমতে, ২০২২ থেকে ২০২৪ সালে রাজধানীতে বায়ুদূষণের জন্য অসুস্থ হয়েছেন অন্তত ২ লাখ মানুষ। যাদের বেশিরভাগই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছেন। এদের মধ্যে ফুসফুসের সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন অন্তত ৩০ হাজার মানুষ। ২০২২ সালে দিল্লির ৬টি বড় হাসপাতাল শ্বাসকষ্টজনিত রোগী ভর্তি হয় ৬৭ হাজার আর ২০২৩ সালে ভর্তি হয় ৬৯ হাজার। ২০২৪ সালে যা ৬৮ হাজার ছাড়িয়ে যায়।
আরও পড়ুন:
দিল্লি এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্সের তথ্যমতে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দিল্লির বায়ুদূষণের মাত্রা এতই তীব্র যে তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বেধে দেয়া বায়ুমানের চেয়ে ২০ গুণ বেশি খারাপ। গেলো বুধবার সকালেও দিল্লির গড় বায়ুমান রেকর্ড করা হয় ৩৮০।
এ পরিস্থিতিতে দীর্ঘমেয়াদি ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। বিশেষ করে শীতে অবস্থা আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।
এরইমধ্যে দিল্লির বায়ুদূষণ কমাতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে বিভিন্ন পদক্ষেপ। শহরজুরে তুলনামূলক কম গুরুত্বপূর্ণ নির্মাণকাজ বন্ধে বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে প্রশাসন।
প্রশাসন ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকেও বায়ুদূষণ কমাতে নেয়া হচ্ছে বিভিন্ন কর্মসূচি। দেশটির প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের চেয়ারপারসন সোনিয়া গান্ধী দূষণ রোধে ক্ষমতাসীনদের চাপ দিচ্ছেন।





