রাশিয়ার একটি সেনা কমান্ড পোস্টে ঝটিকা সফরে প্রেসিডেন্ট পুতিন। আর সেখানে গিয়ে পেলেন সুখবরও। রুশ প্রেসিডেন্টের সামনে শীর্ষ কমান্ডাররা নিশ্চিত করলেন, পোকরোভস্ক ও ভোভচানস্ক নামে ইউক্রেনের দু'টি শহরের দখল নিয়েছে মস্কো। রোববার (৩০ নভেম্বর) পুতিনের এই সফরের ছবি প্রকাশ করেছে রুশ গণমাধ্যম, আর ক্রেমলিন মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন এই অভিযানের সত্যতা।
এসময় পুতিন ইঙ্গিত দিয়েছেন যে উদ্দেশে ইউক্রেনে অভিযান শুরু করেছিল মস্কো, তার খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে রাশিয়া।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ‘পোকরোভস্ক দখল আমাদের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ খবর। ধীরে ধীরে সবাই বুঝতে পারবে কেন এই অভিযানের ওপর জোর দেয়া হচ্ছিল। ইউক্রেনের সামরিক অভিযানের শুরুতে আমরা যে উদ্দেশ্য স্থির করেছিলাম, ধীরে ধীরে সেই সমাধান সূত্রে পৌঁছানো হবে।’
দোনেৎস্কের যে অংশে ইউক্রেনীয় সেনাদের ঘাঁটি আছে সেটি দখল করতে পোকরোভস্কের নিয়ন্ত্রণ নেয়া খুবই জরুরি ছিল রাশিয়ার। কারণ কৌশলগতভাবে সড়ক ও রেলপথের কেন্দ্র পোকরোভস্ক দিয়েই ইস্পাত ও সামরিক সরঞ্জাম আনা নেয়া করতো কিয়েভ।
আরও পড়ুন:
যদিও রুশ প্রেসিডেন্টের এই দাবি সরাসরি প্রত্যাখান করেছে কিয়েভ। চলমান আলোচনায় ইউক্রেনের ভৌগোলিক অখণ্ডতা নিশ্চিত করাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন ভলোদিমির জেলেনস্কি। প্যারিসে ইউরোপীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর এ নিয়ে কথা বলেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘রাশিয়া এরইমধ্যে বহুবার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে। চুক্তির প্রতিটি দিক তারা এড়িয়ে যাচ্ছে। কারণ তারা কখনোই শান্তি প্রতিষ্ঠার পক্ষে ছিল না। তার ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষায় আমাদের শক্ত নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দিতে হবে।’
এর আগে, কিয়েভের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাতের পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মন্তব্য করেন, আলোচনা ফলপ্রসূ হলেও, বেশ কিছু জটিলতা আছে। মার্কো রুবিওর এই বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হোয়াইট হাউজ দাবি করেছে, যুদ্ধ বন্ধে ইউক্রেন-রাশিয়ার চুক্তিতে পৌঁছানোর বিষয়ে তারা যথেষ্ট আশাবাদী।
এমন পরিস্থিতিতে আজ (মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর) বিকেলে মস্কোয় পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন মার্কিন বিশেষ প্রতিনিধি স্টিভ উইটকফ। এ বৈঠকে রাশিয়া যদি ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড দখলে ওয়াশিংটনের কাছে বৈধতা চায়, তখন কী প্রতিক্রিয়া জানাবে কিয়েভ- সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।





