জেলেনস্কি বলছেন, চলতি সপ্তাহে ওয়াশিংটনের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বসবে কিয়েভ। আর, আগামী সপ্তাহে মস্কো সফর করতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা।
২০২৫ সাল জুড়ে মস্কোর জ্বালানি স্থাপনার ওপর নজর ছিল কিয়েভের, বিপরীতে রাশিয়ার লক্ষ্য ছিল আরও পরিষ্কার, ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডে নিজেদের দখল বাড়ানো।
বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের দোনেৎস্কের প্রশাসনিক অঞ্চল পোক্রোভস্কের ৭০ শতাংশ দখলের দাবি করেছে পুতিন সেনারা। ফ্রন্টলাইনে রুশ যোদ্ধাদের সাফল্য উদযাপন করছে খোদ রুশ প্রেসিডেন্টের অফিস।
ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাত বন্ধে কিয়েভ-ওয়াশিংটন যখন খসড়া প্রস্তাব, শান্তি আলোচনার ভিত-ইত্যাদি নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে তখন চলমান সংঘাতের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন পুতিন।
কিয়েভের সঙ্গে শান্তি চুক্তির বিষয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেছেন, জেলেনস্কির প্রশাসন অবৈধ। নির্বাচনের দাবি উঠলেও জেলেনস্কি তা হতে দিচ্ছেন না। এই প্রশাসনের সঙ্গে কোনো চুক্তি করবে না মস্কো। যদিও ট্রাম্পকে চটাতে চাননি পুতিন। বলছেন, কিয়েভ-ওয়াশিংটন আলোচনা থেকে শান্তি প্রতিষ্ঠার ভিত সৃষ্টির বিষয়ে আশাবাদী তিনি। তবে এই মুহূর্তে যে কোনো চুক্তি হচ্ছে না- তা সাফ জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
তবে যুদ্ধবন্ধে পুতিনের শর্তের তালিকার শুরুতেই আছে ক্রিমিয়া ও দনবাসের নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গ। তারপর বলেছেন, গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল থেকে কিয়েভ যদি সৈন্য প্রত্যাহারে রাজি না হয়, তাহলে বল প্রয়োগ করে নিজদের লক্ষ্য অর্জন করতে বাধ্য হবে মস্কো।
বৃহস্পতিবার পুতিনের বক্তব্যে উঠে এসেছে মস্কোর ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ প্রসঙ্গ। বলছেন, রুশ তেল কোম্পানির ওপর ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞা তাকে অবাক করেছে। আরও দাবি করেছেন, ইউরোপীয় দেশগুলোর নিরাপত্তার প্রশ্নে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত মস্কো। প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তিনি লিখিত দিতে পারেন ইউরোপে হামলার কোনো পরিকল্পনা নেই রাশিয়ার। তবে ইউরোপ মস্কোর সম্পদ জব্দের যে হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে, এর প্রতিক্রিয়ায় পাল্টা প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থার গ্রহণের হুমকি দিয়েছেন পুতিন।
এদিকে, ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, চলতি সপ্তাহে ওয়াশিংটনের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনায় বসবে কিয়েভ। জেনেভায় যে সব সমস্যার নিষ্পত্তি হয়নি, তার সমাধান সূত্র বের করতে চায় ইউক্রেন। জানা যাচ্ছে, ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনার পর আগামী সপ্তাহে মস্কো সফর করভে ওয়াশিংটনের প্রতিনিধি দল।





