দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় বসেই মাদক চোরাচালান বন্ধের নামে ভেনেজুয়েলা ঘিরে একের পর এক কঠোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আওতায় ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে আন্তর্জাতিক মাদক চোরাচালান ও সন্ত্রসী চক্রের সদস্য বলেও তকমা দিয়েছেন তিনি। সমুদ্রপথে সাম্প্রতিক মাদকবিরোধী মার্কিন হামলায় ৮০ জনের বেশি নিহত হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে।
সম্প্রতি ভেনেজুয়েলাকে কেন্দ্র করে জোরদার করা হচ্ছিল মার্কিন সামরিক প্রস্তুতিও। সমুদ্রপথের অভিযানে ব্যাপক সফলতার দাবি করে, এবার ভেনেজুয়েলার মাদক চোরাচালান নেটওয়ার্ককে লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্র খুব শিগগিরই স্থল অভিযান শুরু করবে বলে সরাসরি হুমকি দিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার পাম বিচে মার্কিন সেনাদের এক অনুষ্ঠানে এই বার্তা দিয়েছেন তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে অনেক কিছু করছি। সমুদ্রপথে এটি প্রায় ৮৫ শতাংশ বন্ধ হয়ে গেছে, আপনারা সম্ভবত লক্ষ্য করেছেন। মানুষ সমুদ্রপথে সরবরাহ করতে চাইছে না। তাই আমরা স্থলপথেও তাদের থামাতে ব্যবস্থা নেবো। স্থলপথে এটি করা আরও সহজ। খুব শিগগিরই এটি শুরু হতে চলেছে। আমরা তাদের সতর্ক করছি, আমাদের দেশে বিষ পাঠানো বন্ধ করো।’
আরও পড়ুন:
নিজেদের সামরিক সক্ষমতা দেখাতে যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টারের মহড়া চালিয়েছে ভেনেজুয়েলা। এমনকি দেশ-বিদেশি হুমকি মোকাবিলা এবং নিজ ভূখণ্ড রক্ষায় প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। যুক্তরাষ্ট্রের মিথ্যা এবং অযৌক্তিক যুক্তি কেউ বিশ্বাস করে না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে এ কথা বললেন মাদুরো।
ভেনেজুয়েলা প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো বলেন, ‘জনগণকে ভয় পেতে হবে এমন কোনো আগ্রাসনের হুমকি নেই। যদি থাকেও, তাহলে আমাদের জনগণ নিজেদের মাতৃভূমি, মাটি, সমুদ্রসীমা, আকাশপথ এবং তাদের ইতিহাসকে রক্ষায় প্রস্তুত। ভেনেজুয়েলাকে নিয়ে প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।’
চলতি মাসের শুরুতে মাদক চোরাচালান বন্ধের লক্ষ্যে ভেনেজুয়েলা উপকূলীয় অঞ্চলে সাউদার্ন স্পিয়ার নামে বেশ কয়েকটি মার্কিন রণতরী ও ১৫ হাজার সেনা মোতায়ানের পর থেকে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
এরই মধ্যে ক্যারিবীয় অঞ্চল পুয়ের্তো রিকোতে নোঙর করেছে ক্রুজ-ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসকারী মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস গ্রেভলি। এছাড়াও পুয়ের্তো রিকোতে থাকা মার্কিনঘাঁটিতে এনে রাখা হয়েছে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান।





