দিপাবলীর পর থেকেই অবনতির শুরু ভারতের গড় বায়ুমানের। পরিস্থিতি উত্তরণে দিল্লি সরকার নানা উদ্যোগ নিলেও, স্বাভাবিক হয়নি কিছুই। এছাড়া, শুষ্ক মৌসুমে ভারতের পাঞ্জাব, হরিয়ানাসহ বিভিন্ন রাজ্যে যততত্র খড় পোড়ানোয় প্রতিনিয়ত ধোঁয়ার চাদরে আচ্ছাদিত দিল্লিসহ আশপাশের শহরগুলোর আকাশ। এবার ভারতবাসীর জন্য মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে ইথিওপিয়ার আগ্নেয়গিরি থেকে সৃষ্ট ছাই।
রোববার প্রায় ১২ হাজার বছর পর উত্তর ইথিওপিয়ার হাইলি গুব্বি আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটে। এরপর ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে ধোঁয়ার কুণ্ডলী ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের অঞ্চলে। বাতাসের তীব্রতা বেশি থাকায় ছাই লোহিত সাগর পেরিয়ে উত্তর ও পশ্চিম ভারতের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। এনডিটিভি জানায়, সোমবার (২৪ নভেম্বর) রাত থেকে ভারতের দিল্লি, রাজস্থান, হরিয়ানা ও উত্তর প্রদেশের আকাশে ঘনীভূত আছে আগ্নেয়গিরির ছাই।
আরও পড়ুন:
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে সতর্ক অবস্থানে ভারতের বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষ। এরইমধ্যে ১১ টি ফ্লাইট বাতিল করেছে এয়ার ইন্ডিয়া। এছাড়া, ভারতের যেসব এলাকার আকাশ ছাইয়ের কুণ্ডলীতে আচ্ছন; সে সব স্থানে চলাচলকারী বিমানকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় বিমান পরিবহন অধিদপ্তর।
এদিকে, ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ ছাইয়ের স্তূপ ভারতের আকাশ থেকে চীনের দিকে অগ্রসর হবে। তবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এর ফলে আরও অবনতি ঘটবে ভারতের গড় বায়ুমানের।
অন্যদিকে, প্রতিনিয়ত দিল্লির বায়ুমান খারাপ হওয়ায় শহরটির অফিসগামী কর্মীদের জন্য নতুন নির্দেশনা জারি করেছে দিল্লি সরকার। নির্দেশনা অনুযায়ী, মোট জনবলের অর্ধেক কর্মী নিয়ে কাজ করবে দিল্লির সরকারি ও বেসরকারি অফিসগুলো। এছাড়া, বাড়ি থেকে কাজ করবেন বাকী কর্মীরা। নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে নেয়া হবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা। তবে নির্দেশনা আওতামুক্ত থাকবে জরুরি পরিষেবা প্রতিষ্ঠানগুলো।
মূলত অফিসগামী মানুষের চাপে যানবাহন থেকে নির্গত ধোঁয়া দিল্লির গড় বায়ুমানকে আরও অবনতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। একারণে জনসাধারণের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি সরকার। মঙ্গলবার সকালে দিল্লিসহ এর আশেপাশের এলাকাগুলোর গড় বায়ুমান বা একিউআই ইনডেক্স ৩০০ এর উপরে ওঠানামা করছে।





