জন্মের পর প্রতি ১ হাজারের মধ্যে অন্তত পাঁচটি শিশুর মস্তিষ্কে নানা ধরনের জটিলতা দেখা দেয়। অপরিণত শিশুদের জন্মের ক্ষেত্রে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। মস্তিষ্কে অক্সিজেনের অভাব, রক্তক্ষরণ, সংক্রমণ বা জন্মগত আঘাতসহ বেশকিছু সমস্যার কারণে দেখা দিতে পারে জটিলতা।
নবজাতকদের আজীবন অক্ষমতার একটি অন্যতম কারণ মস্তিষ্কের আঘাত, যার ফলে দেখা দেয় নানা শারীরিক জটিলতা। এতে মৃগীরোগ, খিঁচুনি, সেরিব্রাল পালসির মতো নানা মস্তিষ্ক ব্যধিতে ভোগে শিশুরা।
প্রসবের সময় নবজাতকের মস্তিষ্কের আঘাত কমাতে একটি কর্মসূচি চালু করেছে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা শিশুদের মস্তিষ্কের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণে নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন, যা মস্তিষ্কের নানা ব্যধি নির্ণয়ে আগাম ধারণা দেবে।
কনসালট্যান্ট নিউরোসার্জন অ্যালেক্সিস জোয়ানাইডস বলেন, ‘প্রাথমিক দিন ও সপ্তাহগুলোতে শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশ খুব দ্রুত ঘটে। এমনকি প্রতিদিনের ভিত্তিতেও পরিবর্তন দেখা যায়। তাই এমন কিছু পদ্ধতি থাকা দরকার যাতে প্রতিনিয়ত এসব পরিবর্তন পরিমাপ ও পরীক্ষা করা যায়।’
আরও পড়ুন:
একটি ছোট কালো টুপিতে লাগানো আছে বিশেষ ধরনের সরঞ্জাম। আলোর মাধ্যমে সেন্সরগুলো মস্তিষ্কে অক্সিজেনের পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করে এবং আল্ট্রাসাউন্ডের মাধ্যমে মস্তিষ্কের গভীরে ছোট ছোট রক্তনালীগুলোর চিত্রও ধারণ করতে পারে। এ পদ্ধতির মাধ্যমে বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশুর মস্তিষ্কে কী প্রভাব পড়ছে তা অনুমান করা যায়।
এজন্য বারবার সিটিস্ক্যান বা এমআরআইয়ের মতো জটিল প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয় না, ঘরে বসে সহজেই এ বিশেষ টুপি দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা সম্ভব।
মেডিক্যাল গবেষক ডা. ফ্লোরা ফাউর বলেন, ‘এসব ডিভাইসের আলো মস্তিষ্কের অক্সিজেনেশন পরিমাপ করে। এটি মস্তিষ্কের পৃষ্ঠের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। আল্ট্রাসাউন্ডের সাহায্যে আরও গভীরে পরীক্ষা করতে সক্ষম।’
গবেষকরা বলছেন, আগামী এক দশকের মধ্যে যুক্তরাজ্যের প্রায় প্রতিটি হাসপাতালে এ প্রযুক্তি পৌঁছে দেয়া হবে। বিশ্বে প্রথমবার শিশুদের মস্তিষ্কজনিত রোগ নির্ণয়ের কৌশল আবিষ্কার করা হয়েছে।





