মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসির উপস্থিতিতে পর্দা উঠলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর-গিজার। যেখানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বের ৭০ দেশের প্রতিনিধিরা।
এরমধ্য দিয়ে অবসান ঘটলো দীর্ঘ ২০ বছরের প্রতীক্ষার। ২০০৫ সালে নির্মাণ কাজ শুরু হয় জাদুঘরটি। নির্মাণব্যয় ধরা হয় একশো কোটি ডলার। এর আগেই জাদুঘরটি উদ্বোধনের কথা থাকলেও মধ্যপ্রাচ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতার বিভিন্ন কারণে একাধিকবার পিছিয়েছে তা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বড় আকর্ষণগুলোর মধ্যে ছিলো ফারাও তুতেনখামেনের সমাধি থেকে সংগ্রহ করা প্রায় ৫ হাজার নিদর্শন। এ ছাড়া রয়েছে গিজা পিরামিডের নির্মাতা ফারাও খুফুর একটি নৌকা। ৪ হাজার ৫০০ বছরের পুরনো এই কাঠের নৌকা পঞ্চাশের দশকে খুফুর পিরামিডের কাছে খনন করে বের করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন:
জাদুঘরের প্রবেশমুখে দর্শনার্থীরা দেখতে পাবে বিশাল একটি মূর্তি। ৩ হাজার ২০০ বছরের পুরনো ও ৩৬ ফুট লম্বা মূর্তিটি সবচেয়ে বিখ্যাত ফারাও রামেসিস দ্য গ্রেটের। জাদুঘরে ছয়তলায় সিঁড়ির পাশ দিয়ে সারি সারি সাজানো রয়েছে প্রাচীন মূর্তি। সিঁড়ির শেষ প্রান্তে রয়েছে প্রধান প্রদর্শন গ্যালারিগুলো।
জাদুঘরের প্রদর্শন গ্যালারিগুলো মোট ২ লাখ ৫৮ হাজার বর্গফুট জায়গার ওপর। সেখানে প্রাচীন নিদর্শনের অনেকগুলোয় আনা হয়েছে মিসর জাদুঘর থেকে। এ জাদুঘর রাজধানী কায়রোর তাহরির স্কয়ারে। বাকি নিদর্শনগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে সম্প্রতি খনন করা ফারাও যুগের বিভিন্ন সমাধি থেকে।
মিশরের এ গিজা জাদুঘর প্রতিবছর ৭০ লাখ দর্শনার্থী টানবে বলে প্রত্যাশা কর্তৃপক্ষের। আর ২০৩০ সালের মধ্যে যা বেড়ে দাঁড়াবে ৩ কোটি।





