দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউজের মসনদে বসার পর ট্রাম্পের অন্যতম অঙ্গীকার ছিল হামাস-ইসরাইল ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটানো। গাজা যুদ্ধ বন্ধে আপাতত কিছুটা সফলতার মুখ দেখলেও, ইউক্রেন যুদ্ধের এখনও কোন কূলকিনারা করতে পারছেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কয়েক দফার চেষ্টার পরও শান্তিচুক্তিতে পুতিনকে রাজি করাতে ব্যর্থ ট্রাম্প। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার পুতিনের ওপর হতাশাও প্রকাশ করেছেন তিনি।
তবে, নানা অনিশ্চয়তার মধ্যেই আবারও নাটকীয় পরিবর্তন দেখা গেলো ট্রাম্প-পুতিন সম্পর্কে। বৃহস্পতিবার রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দীর্ঘ ২ ঘণ্টা ফোনে কথা বলেন ট্রাম্প। ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান এবং ওয়াশিংটন-মস্কো বাণিজ্য নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলে দাবি মার্কিন প্রেসিডেন্টের। সেখানেই উঠে আসে দুই নেতার বৈঠকের বিষয়টি। চলতি বছর এ নিয়ে ৮ বার ফোনালাপ হলো ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে।
ট্রাম্প জানান, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন তিনি। দিন তারিখ ঠিক না হলেও, এবারে বৈঠকটি হতে পারে হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে।
আরও পড়ুন:
এদিকে, ট্রাম্প-পুতিনের সম্মেলন ঘিরে সব ধরনের প্রস্তুতি সেরে রেখেছে হাঙ্গেরি। দুই নেতাকে স্বাগত জানাতে হাঙ্গেরি প্রস্তুত বলেও জানান দেশটির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান। এ সময় তিনি বলেন, বিশ্ববাসীর জন্য শান্তির বার্তা আসবে বুদাপেস্ট থেকে।
এদিকে, ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক আয়োজন নিয়ে এরইমধ্যে আলোচনা শুরু করছেন ওয়াশিংটন ও মস্কোর শীর্ষ কর্মকর্তারা। শিগগিরই দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়ে বৈঠকে করবেন। সেখানেই ঠিক হবে দুই নেতার সম্মেলনের সময়সূচি। বৈঠকের স্থান হিসেবে বুদাপেস্টের ব্যাপারে পুতিন তাৎক্ষণিকভাবে সম্মত হয়েছেন বলেও জানিয়েছে ক্রেমলিন।
এদিকে, ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করতে আবারও যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেছেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। শুক্রবার হোয়াইট হাউজের আলোচনায় উঠে আসতে পারে রাশিয়ার অভ্যন্তরে আঘাত করতে সক্ষম টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র ও মার্কিন সামরিক সহায়তা নিয়ে। জেলেনস্কির দাবি, টমাহক ক্ষেপণাস্ত্রের কথা শুনেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংলাপে বসতে তাড়াহুড়ো শুরু করেছে রাশিয়া।
গেল আগস্টে আলাস্কায় ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক ব্যর্থ হওয়ার পর থেকেই রাশিয়ার প্রতি কঠোর অবস্থানে ছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে এবার রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে অনেকটাই আশাবাদী ট্রাম্প। এরইমধ্যে ৪ বছরে গড়াতে যাচ্ছে এ যুদ্ধ।





