ট্রাম্পের উদ্যোগে গাজা যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ কার্যকর হলেও, এখনও বন্ধ হয়নি ইউক্রেন যুদ্ধ। রয়টার্স জানায়, রোববারও পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষে জড়িয়েছে ক্রেমলিন ও কিয়েভ। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, গেল ২৪ ঘণ্টায় ইউক্রেনের একাধিক স্থানে হামলা চালিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। এতে বিপুল পরিমাণ ইউক্রেনীয় সামরিক সরঞ্জাম ধ্বংসেরও দাবি করছে তারা। এছাড়া, রুশ বিমান প্রতিরক্ষা বিভাগ নয়টি রকেট, একটি দূরপাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র রুখে দিয়েছে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে মস্কো। পাশাপাশি ৭০ টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিতের দাবিও করছে রুশ প্রতিরক্ষা বিভাগ।
রাশিয়ার বেলগোরোদ অঞ্চলের গভর্নর জানান, রোববার ১২টি জেলায় ক্রমাগত হামলা চালায় ইউক্রেনীয় বাহিনী। এতে এক বেসামরিক নাগরিক নিহতের দাবি তার।
অন্যদিকে, রোববার রাশিয়ার সৈন্যদের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলার অভিযোগ তুলেছে কিয়েভ। দোনেৎস্ক, ওডেসা ও চেরনিহিভ অঞ্চলের একাধিক জ্বালানি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি ইউক্রেনের । এছাড়া, রোববার রুশ বাহিনীর কাছে দখল একটি গ্রাম পুনরুদ্ধারেও দাবি তাদের।
এদিকে, যুদ্ধ বন্ধ না হলে ইউক্রেনকে দূরপাল্লার টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। ইসরাইল সফরের আগে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
আরও পড়ুন:
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আমি রাশিয়ার সঙ্গে টমাহক নিয়ে কথা বলব। এটি বিধ্বংসী অস্ত্র। আমার মনে হয় না, রাশিয়া এটা চায়। তবে যুদ্ধের অবসান না ঘটলে আমি ইউক্রেনে এটি পাঠাবো।’
তবে ট্রাম্প স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তখনই টমাহক সরবরাহ করা হবে যখন ইউক্রেনীয় বাহিনী নিশ্চিত করবে এটি কী উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হবে।
ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ও টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপের পর রোববার ফক্স নিউজকে দেয়া সাক্ষাতকারে জেলেনস্কি জানান, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র দিলে শুধু রুশ সামরিক স্থাপনায় হামলার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হবে এটি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘টমাহক দিয়ে রুশ সামরিক স্থাপনায় হামলা করা হবে। রুশ বাহিনী আমাদের অনেক সাধারণ মানুষকে হত্যা করলেও, আমরা টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র রুশ বেসামরিক জনগণকে মারতে ব্যবহার করব না।’
টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র ইস্যুতে এরইমধ্যে বেশ কয়েকবার ওয়াশিংটনকে সতর্ক করেছে মস্কো।





