ফ্লোটিলা বহর থেকে আটক মানবাধিকার কর্মীদের দ্রুত ফেরত পাঠানোর আশ্বাস

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার জাহাজ বহর
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার জাহাজ বহর | ছবি: সংগৃহীত
0

গাজার উদ্দেশে রওয়ানা দেয়া সুমুদ ফ্লোটিলার নৌবহর থেকে আটক মানবাধিকার কর্মীদের দ্রুত যার যার দেশে পাঠানো হবে। গতকাল (শুক্রবার, ৩ অক্টোবর) এ কথা জানান ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এরই মধ্যে ইতালির ৪ কর্মীকে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলেও দাবি তার। তেল আবিব আটক কর্মীদের ভালো অবস্থান দাবি করলেও সেখানকার আইনজীবীদের বরাত দিয়ে তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদুলু জানিয়েছে ভিন্ন কথা।

এদিকে তিউনিশিয়া বন্দরে সুমুদ ফ্লোটিলার দুটি নৌযানে ড্রোন হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু। মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগের তথ্যের ভিত্তিতে এ খবর জানায় সংবাদমাধ্যম সিবিএস। তবে ইসরাইলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করা হয়নি। যদিও এর আগে গেলো মে মাসে ফ্রিডম ফ্লোটিলার নৌবহরে যোগ দেয়া ইতালির কনসায়েন্সে দুটি ড্রোন হামলা করে ইসরাইল।

ভূমধ্যসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকে সুমুদ ফ্লোটিলার ত্রাণবাহী সবগুলো নৌযান জব্দের পর আটক করা হয়েছে নৌবহরের সব যাত্রীদের। যেখানে ছিলেন সুইডিশ পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ, দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদ-বিরোধী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার নাতিসহ প্রায় ৫০০ মানবাধিকারকর্মী।

আরও পড়ুন:

আটকের পর এদের সবাইকে ইসরাইলের আশদোদ বন্দর দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বন্দিশালায়। তবে তাদের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিয়েছে সংবাদমাধ্যমগুলো। বিবিসিসহ পশ্চিমা সংবাদমাধ্যম বলছে, কর্মীদের আটকের সময় কেবল জলকামান ব্যবহার করা হয়েছে। তারা সবাই সুস্থ ও নিরাপদ আছেন।

ইসরাইলি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, আটকের পর এরইমধ্যে ইতালির ৪ কর্মীকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এবং বাকিদের ফেরত পাঠাতেও কাজ করছে ইসরাইল সরকার। যত দ্রুত সম্ভব এই প্রক্রিয়া শেষ করতে চায় তারা।

তবে তুরস্ক ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনাদুলু বলছে ভিন্ন কথা। সেখানকার নৌবহর থেকে কর্মীদের আটকের পর সহনশীল আচরণ করেনি আইডিএফ। পানি বা খাবার দেয়া হয়নি বলেও অভিযোগ রয়েছে।

এরপর আশদোদ বন্দর থেকে ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে বন্দিশালা নাকাবে পাঠানো হয় তাদের। যেখানে রাখা হয় কুখ্যাত সব অপরাধীদের। এরইমধ্যে কয়েক হাজার ফিলিস্তিনিকেও সেখানে বন্দি রেখেছে ইসরাইলি বাহিনী।

ইএ