ব্রিটিশ পতাকা হাতে কোনো সহিংসতাকে সমর্থন করা হবে না: স্টারমার

বর্ণবাদ, অভিবাসন ও ইসলামবিদ্বেষী বিক্ষোভ
বর্ণবাদ, অভিবাসন ও ইসলামবিদ্বেষী বিক্ষোভ | ছবি: এখন টিভি
0

এবার অভিবাসীদের পক্ষে মুখ খুললেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। জানান, ব্রিটিশ পতাকা হাতে কোনো ধরনের সহিংসতাকে সমর্থন করেন না তিনি। গত দুই দিন ধরে টমি রবিনসনের নেতৃত্বে বর্ণবাদ, অভিবাসন ও ইসলামবিদ্বেষী বিক্ষোভের জেরে এ প্রতিক্রিয়া জানান দেশটির প্রধানমন্ত্রী।

গত দুই দিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল লন্ডনে অভিবাসন ও ইসলাম বিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভ দেখা যায়। কট্টর ডানপন্থি টমি রবিনসনের নেতৃত্বে ইউনাইট দ্য কিংডম বা ইডিএলের ব্যানারে এ বিক্ষোভে অংশ নেন ব্রিটেনের প্রায় দেড় লাখ জনগণ।

তাদের এ বিক্ষোভে পুলিশ বাধা দিলে ব্যাপক ধস্তাধস্তি ও ধরপাকড়ের ঘটনা ঘটে। সেসময় বিক্ষোভকারীসহ আহত হন ছয় পুলিশ সদস্যও। আটক করা হয় ২৪ জনকে। তাদের এ বিক্ষোভের পাল্টা জবাব দিতে রাজপথে নামেন দেশটিতে বসবাসরত অভিবাসীরা। যদিও তাদের সংখ্যা ছিল পাঁচ হাজারের মতো।

তবে এবার অভিবাসন বিরোধী এ বিক্ষোভের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। জানান, ব্রিটেনের পতাকা হাতে কোনো ধরণের সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করবে না দেশটি। এছাড়াও, ব্রিটেনের পতাকা কখনও আত্মসমর্পণ করে না। এদেশের পতাকা বৈচিত্রময়তার প্রতীক। এখানে অভিবাসী বা গায়ের রংয়ের জন্য কাউকে হেয় করা হয় না।

আরও পড়ুন:

যদিও যুক্তরাজ্যের মাটিতে জনগণের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভেরও অধিকার রয়েছে বলে জানান কিয়ার স্টারমার। যা এ দেশের মূল্যবোধকে সমর্থন করে। প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি যুক্তরাজ্যের বাণিজ্যমন্ত্রীও পতাকা হাতে অভিবাসনবিরোধী এ বিক্ষোভের প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

ব্রিটেন বাণিজ্যমন্ত্রী পিটার কাই বলেন, ‘বিক্ষোভে ব্যাপক হারে ব্রিটেনের পতাকা নাড়ানো হয়। ব্রিটেনের পতাকা ব্যক্তি স্বাধীনতার প্রতীক। এতে বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভে পতাকার বিশাল সমাহার ভিন্ন কিছু প্রকাশ করে।’

যুক্তরাজ্যে গেলো মাসেও নথিপত্রবিহীন অভিবাসীদের হোটেলে থাকার বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানায় ব্রিটেনবাসী। সেসময় দুপক্ষের মধ্যে বেশ ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। মূলত ইডিএলের উস্কানিতেই দেশটিতে অভিবাসনবিরোধী আন্দোলন জোরদার হচ্ছে।

২০০৯ সালে ইডিএল গঠনের পর থেকেই নানা কর্মকাণ্ডে সমালোচিত তারা। সরাসরি মুসলিমবিদ্বেষ, বিক্ষোভে সহিংসতা, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, চরম ডানপন্থি যোগসূত্র ও স্থানীয় সম্প্রদায়ে বিভাজন সৃষ্টিসহ নানা অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

এফএস