ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও যুদ্ধবিরতিতে একমত ট্রাম্প-পুতিন

বিদেশে এখন
0

ফোনালাপে ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও যুদ্ধবিরতিতে একমত হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। হোয়াইট হাউজ জানায়, অস্ত্রবিরতির সূচনা হিসেবে ইউক্রেনের জ্বালানি স্থাপনা ও জ্বালানি স্থাপনায় সাময়িকভাবে হামলা বন্ধের প্রস্তাবেও রাজি হয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। এছাড়া, অস্ত্রবিরতির চুক্তি অনুসারে ১৭৫ জন বন্দিকে মুক্ত করবে ইউক্রেন ও রাশিয়া।

তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে যুদ্ধ চলার পর অবশেষে সাময়িক অস্ত্রবিরতির দ্বারপ্রান্তে ইউক্রেন-রাশিয়া। মঙ্গলবার, দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় ফোনালাপের পর ইউক্রেন যুদ্ধ নিরসনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রস্তাবিত ৩০ দিনের অস্ত্রবিরতির চুক্তিতে রাজি হয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

বিবিসি বলছে, ইউক্রেনে চলমান সংঘাত পুরোপুরি বন্ধে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেছেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। ফোনালাপের পর এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউজ জানায়, ইউক্রেনের জ্বালানি স্থাপনায় হামলা বন্ধ ও কৃষ্ণসাগরে সামুদ্রিক অস্ত্রবিরতি কার্যকরের মধ্য দিয়ে যুদ্ধ বন্ধের সূচনা করতে আগ্রহী মস্কো। যদিও ক্রেমলিন বলছে, জ্বালানি স্থাপনায় হামলা বন্ধের সিদ্ধান্তে একমত হতে হবে উভয়পক্ষকেই।

রয়টার্স বলছে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে অচিরেই মধ্যপ্রাচ্যে মস্কো-কিয়েভ প্রতিনিধিদের সাথে বসবে ওয়াশিংটন। জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলা বন্ধে দু'পক্ষ রাজি হলে দীর্ঘমেয়াদি অস্ত্রবিরতি ও দখল করা অঞ্চল ভাগাভাগির প্রশ্নে আলোচনা শুরু হবে।

আনুষ্ঠানিক এক বিবৃতিতে ক্রেমলিন আরও জানায়, অস্ত্রবিরতির আওতায় ১৭৫ বন্দিকে একে অপরের কাছে হস্তান্তর করবে ইউক্রেন ও রাশিয়া। পাশাপাশি রুশ হামলায় গুরুতর আহত ২৩ ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাকে কিয়েভের কাছে রেহাই করবে মস্কো। ক্রেমলিনের দাবি, সংঘাত নিরসনে ইউক্রেনে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ও পশ্চিমা সামরিক সহায়তা বন্ধ করতে হবে বলেও জোর দিয়েছেন পুতিন।

রুশ গণমাধ্যম আরটি জানায়, মস্কোর প্রতিনিধি দলের সাথে যুদ্ধবিরতির আলোচনায় উপস্থিত থাকবে ট্রাম্প প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরাও।

এএইচ