বিদেশে এখন
0

সোমালিয়া উপকূলে রহস্যজনকভাবে ১০ ডলফিনের মৃত্যু

সোমালিয়া উপকূলে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছে ১১০টি ডলফিনের। কোন ধরনের আঘাত কিংবা ক্ষত চিহ্ন নেই এদের শরীরে। এমনকি পানিতে বিষক্রিয়াও মারা যায়নি এরা। এমনটাই ধারণা সোমালিয়ার মৎস্য ও সামুদ্রিক সম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের। তবে ঠিক কী কারণে এক রাতে প্রাণ গেল এতো বিপুল সংখ্যক ডলফিনের, বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

সোমালিয়ার পান্টল্যান্ড সাগর উপকূলে পড়ে আছে সারিসারি ডলফিনের নিথর দেহ। উজানের ঢেউয়ে তীরে এসে আটকে রয়েছে প্রায় ১০০ ডলফিন। কোন অজানা কারণে আসলে মারা গেছে এরা জানা নেই কারও।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বিপুল সংখ্যক ডলফিনের মৃতদেহ দেখে প্রশাসনকে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে সোমালিয়ার মৎস্য ও সামুদ্রিক সম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে সেখানে যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে ঠিক কী কারণে এতোগুলো ডলফিন এক সঙ্গে মারা গেল তা নিয়ে সন্দিহান তারা।

সোমালিয়ার মৎস্য ও সামুদ্রিক সম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আবদিরিসাক হাগা বলেন, ‘সমুদ্র উপকূল থেকে ১১০টি ডলফিনকে উদ্ধার করেছি। সেখানকার স্থানীয় যুবকেরা বেশ কিছু ডলফিনকে পানিতে দেয়ার চেষ্টা করে। তবে কোন লাভ হয়নি।’

সোমালিয়ার পরিবেশ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে এদের দেহে কোন আঘাত বা ক্ষত চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

আবদিরিসাক হাগা বলেন, ‘ডলফিনের দেহে কোন আঘাত নেই। তাই বলা যায় তাদের মৃত্যুর কারণ পুরোপুরি অজানা।’

এমনকি মাছগুলো অক্ষত থাকায় সমুদ্রের পানিতে কোন ধরনের বিষাক্ত জিনিসের কারণেও এদের মৃত্যু হয়নি বলে ধারণা কর্মকর্তাদের।

বিপুল সংখ্যক ডলফিনের রহস্যজনক মৃত্যুর কারণ খুঁজতে তাই মরিয়া স্থানীয় সরকার। মৃত ডলফিনগুলোর নমুনা পাঠানো হয়েছে পরীক্ষাগারে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে এদের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ।

ইএ