বিদেশে এখন
0

সূর্যের সবচেয়ে কাছাকাছি পৌঁছেছে দ্য পার্কার সোলার প্রোব

ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সূর্যের সবচেয়ে কাছাকাছি পৌঁছে গেছে দ্য পার্কার সোলার প্রোব। নাসার এই মহাকাশযানটির বর্তমান অবস্থান সূর্য থেকে ৬২ লাখ কিলোমিটার দূরে। যদিও গেল কয়েকদিন পৃথিবীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি মহাকাশযানটি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, অভিযান সফল হলে জানা যাবে, সূর্য পৃষ্ঠের সঙ্গে এর বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা পার্থক্যের কারণ ও সৌরঝড়ের আদ্যোপান্ত।

দেড় কোটি ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ড সূর্য। পৃথিবী থেকে নক্ষত্রটির দূরত্ব প্রায় ১৫ কোটি কিলোমিটার। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সূর্যের সবচেয়ে কাছাকাছি পৌঁছে গেছে দ্য পার্কার সোলার প্রোব। নাসার এই মহাকাশযানটির বর্তমান অবস্থান সূর্য থেকে ৬২ লাখ কিলোমিটার দূরে।

দূরত্ব শুনে এখনো অনেক বেশি মনে হলেও দর্শকশ্রোতাদের এই ভুল ভেঙ্গে দিয়েছেন ড. নিকোলা ফক্স। নাসার প্রধান বিজ্ঞানী বলেন, পৃথিবী ও সূর্যের মধ্যকার দূরত্বকে মাত্র ১ মিটার ধরা হলে দ্য পার্কার সোলার প্রোবের অবস্থান নক্ষত্রটির মাত্র ৪ সেন্টিমিটারের মধ্যে।

অত্যধিক তাপমাত্রা থেকে রক্ষার জন্য মহাকাশযানটিতে রয়েছে সাড়ে ৪ ইঞ্চি পুরু কার্বন কম্পোজিট শিল্ডের আবরণ। পার্কার সোলার প্রোবের গতি ঘণ্টায় প্রায় ৬ লাখ ৯৩ হাজার কিলোমিটার। এই গতিতে নিউইয়র্ক থেকে লন্ডন পৌঁছাতে সময় লাগবে মাত্র ৩০ সেকেন্ড।

তবে কেনো কোটি ডলার ব্যয় করে সূর্যকে ছোঁবার আত্মঘাতী চেষ্টা করছে নাসা? প্রশ্নের জবাবে সংস্থাটির বিজ্ঞানীরা জানান, রহস্য ভেদের জন্যেই এই এলাহি আয়োজন। সূর্যের পৃষ্ঠের তাপমাত্রা ৬ হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াস। অথচ বাইরের বায়ুমণ্ডল তাপমাত্রা কয়েক লাখ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কেনো তাপমাত্রার এই পার্থক্য, তা অন্বেষণের চেষ্টায় বিজ্ঞানীরা। পাশাপাশি সৌর ঝড় নিয়েও জানা যাবে বিভিন্ন তথ্য।

গেল কয়েকদিন ধরে মহাকাশযানটির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছে না নাসা। বিজ্ঞানীদের ধারণা, এই যাত্রায় বেচে গেলে ২৭ ডিসেম্বর পৃথিবীতে সিগন্যাল পাঠাবে পার্কার সোলার। ২০১৮ সালে পৃথিবী থেকে ছেড়ে যায় মহাকাশযানটি।

ইএ