অতি সম্প্রতি ভারতীয় বিমানে বোমা হামলার আতঙ্ক কাটছেই না। আজ (শনিবার, ১৯ অক্টোবর) সকাল থেকে ভারতে বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের ২০টিরও বেশি ফ্লাইটে বোমার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এয়ার ইন্ডিয়া, ইন্ডিগো, আকাসা এয়ার, ভিস্তারা, স্পাইসজেটসহ বেশকিছু নামিদামি এয়ারলিয়ান্সে এই আতঙ্ক দেখা দেয়। বোমা হুমকিতে বেশ ক’টি ফ্লাইট বাতিল এবং জরুরি অবতরণ করা হয়।
মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এয়ারলাইন্সগুলোকে জানানো হয়, বোমায় সর্বত্র রক্ত ছড়িয়ে পড়বে, আপনারা সবাই মারা যাবেন, বোমা রাখা হয়েছে, এটি ভুয়া না ইত্যাদি নানা তথ্য। গেল সপ্তাহে এমন প্রায় ৭০টি ফোন আসে। যদিও এখন পর্যন্ত সন্দেহজনক কিছুই খুঁজে পাওয়া যায়নি। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বলছে এসবই ভুয়া খবর।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও একই আতঙ্ক ছড়ানো হয়। এ ঘটনায় ছত্তিসগড় থেকে ১৭ বছর বয়সী একজনকে আটক করে পুলিশ। বোমা হামলার হুমকি ভারত ছাড়াও লন্ডন থেকেও আসছে।
ভারতের বিমান পরিবহন মন্ত্রী এভিয়েশন মিনিস্টার রাম মোহন নাইডু বলেন, ‘এটা কোনো ষড়যন্ত্র কিনা এই মুহূর্তে কিছু বলা যাচ্ছে না। আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি। কিছু অল্পবয়স্ক তরুণ মজার ছলে এসব কর্মকাণ্ড করছে। ফোন কলে ও পোস্টের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ধরনের হুমকি দেয়ার চেষ্টা করছে তারা। এগুলো ছোটখাটো ও বিচ্ছিন্ন ঘটনা।’
গেল ২৪ ঘণ্টায় প্রায় এক ডজন বিমানে বোমা রাখার হুমকি আসে। ইন্ডিগোর ৫টি বিমান বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয় দুষ্কৃতীকারীরা। এরপর বেশকিছু বিমানের যাত্রীদের নামিয়ে করা হয় তল্লাশি। বাতিল করা হয় বেশকিছু অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট।
পূজার মৌসুমের মধ্যে লাগাতার হুমকিতে উদ্বেগ ছড়িয়েছে পড়ছে যাত্রী ও এয়ারলাইন্সের। এ ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘বোমার হুমকি খুবই গুরুতর বিষয়। বেশকিছু ফ্লাইট জরুরি অবতরণ করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালগুলো বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছে। বেশকিছু পদক্ষেপও ইতোমধ্যে নেয়া হয়েছে।’
মূলত গেল ১৩ অক্টোবর বিভিন্ন জায়গায় থেকে ভারতীয় এয়ারলাইন্সগুলোকে লক্ষ্য করে বোমা হামলার হুমকি দেয়া হচ্ছে। ভিপিএন-এর মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসেব আতঙ্ক ছড়ানোয় তাদের শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না।
এদিকে, এয়ার নিউজিল্যান্ডের একটি বিমানে বোমা হামলার হুমকির ছড়িয়ে পড়লে সিডনি বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করা হয়। এ ঘটনায় তদন্তে নেমেছে অস্ট্রেলিয়ান ফেডারেল পুলিশ।