জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারে সৃষ্ট কার্বন নিঃসরনে উত্তপ্ত হচ্ছে বায়ুমণ্ডল। বাড়ছে বৈশ্বিক তাপমাত্রা। এতে বরফ গলে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। একইসঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ধেয়ে আসছে দাবানল, খরা ও বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ।
এ অবস্থায় জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কয়লা, তেল ও গ্যাসের ব্যবহার বন্ধে নবায়নযোগ্য জ্বালানি সক্ষমতা বাড়ানোর পথে হাঁটছে পুরো বিশ্ব। গত বছর জাতিসংঘের জলবায়ু শীর্ষক সম্মেলন কপ-২৮-এ একটি লক্ষ্যমাত্রা ঠিক হয়। যেখানে ২০৩০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য শক্তির সক্ষমতা তিনগুণ বাড়ানোর প্রস্তাবের পক্ষে সায় দেয় ১১০টি দেশ।
নবায়নযোগ্য শক্তির সক্ষমতা তিনগুণ বাড়ানো পরিকল্পনার এক বছর না যেতেই চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে ধরেছে আন্তর্জাতিক জ্বালানি শক্তি সংস্থা- আইইএ। সংস্থাটির দাবি, বিশ্ব এখন থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে ৫,৫০০ গিগাওয়াটের বেশি নবায়নযোগ্য জ্বালানি শক্তি যোগ করতে প্রস্তুত।
যা চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান শক্তি ক্ষমতার সমতুল্য। তবে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে নবায়নযোগ্য শক্তি সক্ষমতা তিনগুণ বাড়ানোর লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হবে জাতিসংঘ।
এ অবস্থায় লক্ষ্য অর্জনে বিশ্বের সব দেশের সরকারকেই তাদের পাওয়ার গ্রিডে নবায়নযোগ্য শক্তি যুক্ত করার বিষয়ে একযোগে প্রচেষ্টা জোরদার করার পরামর্শ আন্তর্জাতিক জ্বালানি শক্তি সংস্থার। এরজন্য ২৫ মিলিয়ন কিলোমিটার বিদ্যুৎ গ্রিড নির্মাণ এবং আধুনিকায়ন জরুরি। সেই সঙ্গে ২০৩০ সালের মধ্যে ১৫০০ গিগাওয়াট স্টোরেজ ক্ষমতায় পৌঁছানো প্রয়োজন।
২০২৪ সালের শেষ নাগাদ বৈশ্বিক সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ১১শ' গিগাওয়াটের বেশি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। যা আনুমানিক চাহিদার দ্বিগুণেরও বেশি। এ অবস্থায় আন্তর্জাতিক জ্বালানি শক্তি সংস্থা বলছে, জাতিসংঘের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন চ্যালেঞ্জ হলেও, নবায়নযোগ্য শক্তির ৮০ শতাংশ অগ্রগতিতে ৭০টি দেশ আলাদাভাবে তাদের লক্ষ্যে পৌঁছে যাচ্ছে।