পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট। এই পর্বতে উঠতেই মানুষের পাড়ি দিতে হয় কত চড়াই উতরাই। আসছে দিনগুলোতে আরও কঠিন হবে এই এভারেস্ট জয়। কারণ এভারেস্ট নিয়ে গবেষকরা দিয়েছেন চাঞ্চল্যকর তথ্য। আশপাশের নদী ভাঙনের কারণে এভারেস্টের নিচে মাটি, পাথর জমে প্রতিবছরই বাড়ছে এভারেস্টের উচ্চতা। এই এভারেস্টের উচ্চতা এখন ৮ হাজার ৮৪৯ মিটার হলেও গবেষকরা বলছেন, গেলো ৮৯ হাজার বছরে ১৫ থেকে ৫০ মিটার বেড়েছে এই পর্বতশৃঙ্গের উচ্চতা।
৯ দশক আগে অরুণ নদী, উপনদী কৌশি নদীকে অধিগ্রহণের পর শক্তি বাড়ানোর পর থেকে শুরু হয় এভারেস্টের উচ্চতা বাড়ার বিষয়টি। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন এবং চায়না ইউনিভার্সিটি অব জিওসায়েন্সের গবেষণা বলছে, এভারেস্টের সঙ্গে হিমালয়ের অন্য পর্বতের পার্থক্য মাত্র আড়াইশ' মিটারের উচ্চতায়। কিন্তু এভারেস্টের উচ্চতা একটু একটু করে বাড়তে থাকলে আরও বাড়বে হিমালয়ের পর্বতমালার সঙ্গে উচ্চতার পার্থক্য। এই প্রাকৃতিক কারণে আশপাশে অবস্থিত লোৎসে আর মালাকুর উচ্চতাও বেড়েছে।
ভারতীয় আর ইউরাশিয়ান প্লেটের মধ্যে সংঘর্ষ হয়ে ৪ থেকে ৫ কোটি বছর আগে সৃষ্টি হয় হিমালয় পর্বতমালা। এই রেঞ্জের উচ্চতা প্লেট টেকনিকের কারণে সবসময় প্রভাবিত হচ্ছে। এরমধ্যে অরুণ নদী পর্বতমালার উচ্চতা বাড়াতে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখছে।
চীন আর নেপালের সীমান্তে অবস্থিত মাউন্ট এভারেস্ট। এই অরুণ নদী প্রবাহিত হয় তিব্বত থেকে নেপালে, এরপর অন্য দুই নদীর সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে ভারতের উত্তরাঞ্চলে প্রবাহিত হয়ে গঙ্গায় মিলিত হয়। এই নদী প্রবাহিত হওয়ার সময় অনেক পলি রেখে যায় যাত্রাপথে। অরুণ নদীর প্রবাহপথের মাটি, পাথর আর পৃথিবীর ভেতরের চাপে এভারেস্টের উচ্চতা বাড়ছে বলে মনে করছেন গবেষকরা। নদীর প্রবাহে ভারসাম্য না ফেরা পর্যন্ত এভারেস্টের উচ্চতা একটু একটু করে বাড়বে বলেও মত তাদের।