এয়ারলাইন্সটি জানায়, শুক্রবার (৯ আগস্ট) দুই ইঞ্জিনের টার্বোপ্রপ বিমানটি দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য পারানার ক্যাসকাভেল থেকে সাও পাওলো শহরের প্রধান বিমানবন্দরে যাচ্ছিল।
এসময় সাও পাওলো থেকে প্রায় ৮০ কিমি উত্তরে ভিনহেদো শহরে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। তবে, দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে কোনও বিস্তারিত তথ্য জানাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এটি খাঁড়াভাবে নীচের দিকে নামছিল। বিমানটিতে ৫৮ জন যাত্রী ও চারজন ক্রু ছিল। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, বিমানের কেউ বেঁচে নেই।
স্থানীয় সূত্রের তথ্যানুযায়ী, বিমানটি একটি আবাসিক ভবনের উপর আছড়ে পড়ে। ব্রাজিলের গ্লোবোনিউজ টেলিভিশন নেটওয়ার্কের ফুটেজে দেখা যায়, একটি বিশাল জায়গা জুড়ে আগুন জ্বলছে এবং চারদিক ধোঁয়ায় ছেয়ে গেছে।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে রয়েছে এবং স্থানীয় হাসপাতালগুলোকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটরাডারের তথ্যানুযায়ী, ২০১০ সালে বিমানটি তৈরি করা হয়। স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৫৬ মিনিটে ক্যাসকাভেল ছেড়ে যায়। এর প্রায় দেড় ঘণ্টা পর বিমানটি থেকে সবশেষ সংকেত পাওয়া গিয়েছিল।
একটি অনুষ্ঠানে থাকা অবস্থায় দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা।