বিদেশে এখন
0

ভারতের গেদে সীমান্তে যাত্রীদের ভোগান্তি

ভারত-বাংলাদেশের গেদে-দর্শনা সীমান্তে কয়েকমাস ধরে ভোগান্তিতে আছেন বাংলাদেশি যাত্রীরা। তাদের অভিযোগ, এ সীমান্তে তল্লাশির নামে হয়রানি করছেন নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী।

ভারতের গেদে সীমান্তে এসে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে বাংলাদেশি যাত্রীদের। তাদের অভিযোগ, বিএসএফ সদস্যরা লাগেজ পরীক্ষা করছেন খালি হাতে। অনেক সময় যাত্রীদের গায়েও হাত দেয়া হচ্ছে। সীমান্তের নানা জটিলতায় রোগী নিয়ে এসেও পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে। পূর্বনির্ধারিত ট্রেনও ধরতে পারছেন না। এছাড়া মুদ্রা বিনিময়েও কাঙ্ক্ষিত রেট পাচ্ছেন না যাত্রীরা।

একজন যাত্রী বলেন, 'ডাক্তারের অ্যাপায়নমেন্ট দেওয়া সন্ধ্যায়, হয়তো এখন দেখাতে পারব না।'

আরেকজন বলেন, 'আমাদের যদি একটা ক্রসিং করতেই সময় চলে যায়, তাহলে আমরা বাদ-বাকি কাজ কখন করব।'

পশ্চিমবঙ্গের স্থানীয় একজন বলেন, 'বিদেশিরা আমাদের দেশে আসবে। আমাদের দেশের অতিথি তারা। আমরা চাই চেক হোক কিন্তু স্ক্যানার দিয়ে হোক।'

মানি এক্সচেঞ্জারের বক্তব্য, গেদে সীমান্তে বিএসএফের চেকিং, কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন অফিস কিছুটা দূরে থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় যাত্রীদের। চেকিংয়ের জন্য সীমান্তে অত্যাধুনিক মেশিনের প্রয়োজন।

গেদে চেক পোস্টের মানি এক্সচেঞ্জার দিনবন্ধু মহলদার বলেন, 'এখানকার যে ইমিগ্রেশন কাস্টমস সেটা অনেকদূরে। যদি এক ছাতার নিচে সব না আনা হয় ভবিষ্যতে বাংলাদেশ থেকে আগত যাত্রীদের এরকম অসৌজন্য আচরণের চরম পর্যায়ে পৌছতে হবে।'

সমস্যার দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন দেশটির স্থানীয় সংসদ সদস্য। 

পশ্চিমবঙ্গের স্থানীয় সংসদ সদস্য জগন্নাথ সরকার বলেন, 'আন্তর্জাতিক এ সীমানা দিয়ে আগামী দিনগুলোয় বাণিজ্য শুরু হবে। তাই পুরো এরিয়া ডেভেলপ করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে।'

বছরখানেক আগে এ বন্দর দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৩ হাজার মানুষ যাতায়াত করতো। বর্তমানে তা নেমে এসেছে হাজারের নিচে। গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে আসা বন্ধ হয়ে গেছে প্রায় ৮০ শতাংশ বাংলাদেশি যাত্রীর।

ইএ