বিদেশে এখন
0

শিক্ষার্থী ভিসা ৩৫ শতাংশ কমালো কানাডা

শিক্ষার্থীদের ভিসার সংখ্যা ৩৫ শতাংশ কমানো হলেও বাংলাদেশের ওপর এর কোনো প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন কানাডার অভিবাসন মন্ত্রী মার্ক মিলার।

বাংলাদেশ হাইকমিশনারের সঙ্গে আলোচনায় এই বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন তিনি। বাঙালি শিক্ষার্থীদের আবেদন ৬০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির প্রতিশ্রুতিও দেয়া হয়েছে। এতে দেশটিতে মাস্টার্স ও পিএইচডি করতে যাওয়া সহজ হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

গেল বছর প্রায় ৯ লাখ বিদেশি শিক্ষার্থীকে ভিসা দেয় কানাডা। বিপুল এ শিক্ষার্থী দেশটির অর্থনীতিকে কিছুটা চাঙা করলেও আবাসন ও স্বাস্থ্য খাতে দেখা দেয় দুরাবস্থা। তাই স্নাতক ও ডিপ্লোমায় ৩৫ শতাংশ ভিসা হ্রাস, কলেজ থেকে পড়াশোনা করলে ওয়ার্ক পারমিট না দেয়াসহ আরও কিছু সিদ্ধান্ত নেয় জাস্টিন ট্রুডো সরকার। এর আগে উচ্চশিক্ষা নিতে আগ্রহী বিদেশি শিক্ষার্থীদের আবেদনের খরচ বাড়ায় সরকার। এ বছরের প্রথম দিন থেকে নতুন এই নিয়ম চালু হয়।

কম সংখ্যক বিদেশি শিক্ষার্থী নেয়ার সিদ্ধান্ত জাস্টিন ট্রুডো সরকারের জন্য মোটেও সহজ ছিল না। তবে এই 'ভিসা ক্যাপে' বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের তেমন অসুবিধা দেখছেন না অভিবাসন মন্ত্রী মার্ক মিলার। ভিসার আবেদন প্রত্যাখ্যান কিছুটা বাড়বে বটে কিন্তু যোগ্যদের জন্য আমূল কোন পরিবর্তন আসবে না বলছে কানডার বাংলাদেশ হাইকমিশন।

কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমান বলেন, ‘কানাডা সরকারের ভিসা সংখ্যা কমানোর সিদ্ধান্তে বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের কোন সমস্যা হবে না।’

যারা ইতোমধ্যে স্টাডি পারমিট পেয়েছেন বা পারমিট নবায়ন করতে আগ্রহী তাদের ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে না। যারা মাস্টার্স বা ডক্টরেট ডিগ্রির জন্য আসবেন কিংবা প্রাথমিক-মাধ্যমিক স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও ভিসার সংখ্যা সীমাবদ্ধ নয়।

কানাডা সরকার মনে করছে, নতুন এই সিদ্ধান্ত বিদেশি শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে নয়। এর ফলে বরং ভবিষ্যতে যারা অন্য দেশ থেকে পড়তে আসবেন তারা আরও ভালো মানের শিক্ষা ও থাকার পরিবেশ পাবেন।