বিদেশে এখন
0

মুন স্নাইপারের রঙিন ছবি প্রকাশ

আলোর অভাবে স্লিপ মোডে 'মুন স্নাইপার'

বিশ্বের প্রথম চন্দ্রযান হিসেবে চাঁদের নির্ধারিত স্থানে অবতরণ করেছে মুন স্নাইপার। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জাক্সা।

গেল সপ্তাহে বিশ্বের ৫ম দেশ হিসেবে চাঁদের বুকে পা রাখে জাপান। দেশটির চন্দ্রযান মুন স্নাইপার ইতিহাস গড়লেও বেশকিছু বিষয় নিয়ে ছিল সংশয়।

চন্দ্রযান উৎক্ষেপণের আগে জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জানায়, মুন স্নাইপারে ব্যবহার করা হয়েছে বিশেষ পিন পয়েন্ট প্রযুক্তি। এর মাধ্যমে নির্ধারিত স্থানের মাত্র ১০০ মিটারের মধ্যে অবতরণ করবে মুন স্নাইপার। যেখানে বাকি ৪টি চন্দ্রযানকে উপগ্রহটিতে অবতরণে নির্ধারণ করতে হয়েছিল কয়েক কিলোমিটার যায়গা।

জাক্সা জানায়, নির্ধারিত স্থান থেকে মাত্র ৫৫ মিটার দূরে অবতরণ করেছে চন্দ্রযানটি। বিশ্বের প্রথম চন্দ্রযান হিসেবে এই কাজটি করেছে মুন স্নাইপার। পিন পয়েন্ট প্রযুক্তির সফলতা ভবিষ্যতের চন্দ্র অভিযানকে আরও সহজ করবে বলে জানায় সংস্থাটি।

জাক্সা’র প্রজেক্ট ম্যানেজার শিনিচিরো সাকাই বলেন, নির্ধারিত স্থানে অবতরণে যে সফলতা পেয়েছি, আগে কোন চন্দ্রযান এই সফলতা পায়নি। এতে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার খুলবে। যে অভিযানগুলোয় আমরা ব্যর্থ হয়েছি সেগুলোও করা সম্ভব হবে।

তবে সোলার জেনারেটর এখনও চালু না হওয়ায় এই সাফল্য ম্লান হয়ে গেছে। অবতরণের পরই চন্দ্রযানটির দু’টি রোভার সোরা কিউ ও লেভ ওয়ান বিভিন্ন তথ্য পাঠায় পৃথিবীতে। ইতোমধ্যেই প্রকাশ করা হয়েছে মুন স্নাইপারের রঙিন ছবি। যাতে দেখা যায় খানিকটা বাঁকা হয়ে অবতরণ করায় সূর্যের আলো পাচ্ছে না চন্দ্রযানটি।

জেনারেটরে ১২ পার্সেন্ট চার্জ থাকায় স্লিপ মোডে রাখা হয়েছে মুন স্নাইপারকে। চাঁদের মাটিতে সূর্যের আলোর দিক পরিবর্তিত হতে সময় লাগে ৩০ দিন। রোভার দু’টি থেকে তথ্য সংগ্রহ করে সংস্থাটির কর্মকর্তারা বলছেন, দীর্ঘ এ সময়ের পর সূর্যের দিক পরিবর্তিত হলে কাজ করতে পারে সোলার জেনারেটরগুলো।

গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর চন্দ্র অভিযান শুরু করে জাপান। লক্ষ্য চাঁদের বুকে পানির পাশাপাশি অক্সিজেন ও জ্বালানি সন্ধান করা।