দৃশ্যমান হচ্ছে মিশরের নতুন রাজধানী

বিদেশে এখন
0

অর্থনীতির চাকাকে গতিশীল করতে ঘণবসতিপূর্ণ কায়রোর পরিবর্তে নতুন রাজধানী নির্মাণ কাজের প্রথম ধাপ শেষ করেছে মিশর। পুরাতন রাজধানী থেকে ৪৫ কিলোমিটার পূর্বে গড়ে তোলা হচ্ছে অত্যাধুনিক এই শহর।

দেশটির নতুন প্রশাসনিক রাজধানীতে দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে সুউচ্চ ভবন, অপেরা হাউস, মেগা মসজিদ ও মধ্যপ্রাচ্যের বৃহত্তম ক্যাথেড্রালসহ নজরকাড়া সব নির্মাণশৈলী।

এছাড়াও নীল নদের পানি দিয়ে বানানো হচ্ছে কৃত্রিম নদী। তৈরি হচ্ছে প্রায় ১ লাখ ধারণক্ষমতা সম্পন্ন অলিম্পিক সিটি। মোটকথা মরুর বুকে নির্মাণশিল্পের যতটা মুনশিয়ানা দেখানো যায় তার পুরোটাই দেখাতে চাইছে নীলনদের দেশটি।

হাইটেক মডেলের নতুন রাজধানী তৈরির কাজ পুরোপুরি শেষ না হলেও এরইমধ্যে এখানে কর্মযজ্ঞ শুরু করেছে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়। প্রাথমিক অবস্থায় ১ লাখ আবাসন ইউনিট প্রস্তুত হওয়ায় বসবাস করছে প্রায় ১২শ পরিবার। এমনকি চলতি বছরের মার্চ মাসের মধ্যেই বড় বড় ব্যাংক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন রাজধানীতে তাদের কর্মযাত্রা শুরু করবে।

মিশরের প্রশাসনিক রাজধানী উন্নয়ন সংস্থা-এসিইউডির চেয়ারম্যান খালেদ আব্বাস বলেন, 'অবকাঠামোর জন্য আমরা ২৫০ থেকে ৩০০ বিলিয়ন মিশরীয় পাউন্ড বিনিয়োগ করতে যাচ্ছি। সরকার এখন শতভাগ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের এখন প্রায় ৪৮ হাজার কর্মী প্রতিদিন কাজ করছে। আমাদের এখন অনেক চাহিদা রয়েছে। তাই অবিলম্বে দ্বিতীয় পর্বের কাজ শুরু করতে হবে। এক বছর বা এরকম সময়ের মধ্যে আমরা তৃতীয় ধাপে কাজ করতে পারি।'

২০৩০ সালের মধ্যে ৪ ধাপে কায়রো থেকে পুরোপুরি সরিয়ে নেয়া হবে মিশরের রাজধানী। ৭শ' বর্গকিলোমিটার আয়তনের শহরটি হবে সিঙ্গাপুরের সমান। যার নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৬ হাজার কোটি ডলার। আর ৬৫ থেকে ৭০ লাখ জনসংখ্যার ধারণক্ষমতাসম্পন্ন হবে অত্যাধুনিক শহরটি।

কায়রোতে বিপুল জনসংখ্যার চাপ কমাতে এবং দেশের অর্থনীতিকে ঢেলে সাজাতে ২০১৫ সালে নতুন রাজধানী নির্মাণের উদ্যোগ নেন প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাতাহ আল সিসি। পরিকল্পনা অনুযায়ী শহরটি মিশরের নতুন প্রশাসনিক ও আর্থিক রাজধানী হয়ে উঠবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।