বিদেশে এখন
0

বিদ্রোহীদের কাছে সেনা সদস্যদের আত্নসমর্পণ

Wasiul Haque Pantho

শিন রাজ্য ছেড়ে ভারত পালাচ্ছেন নাগরিকরা

৯টি শহর, দুটি সীমান্ত বিদ্রোহীদের দখলে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে এতোদিন বেশ প্রতাপের সঙ্গেই মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে ছিলো দেশটির সামরিক জান্তা সরকার। কিন্তু হঠাৎ করেই মিয়ানমারে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে জান্তা সরকারবিরোধী বিদ্রোহী বিভিন্ন গোষ্ঠী। বুধবার রয়টার্সে বিদ্রোহী গোষ্ঠী কারেন্নি ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্সের প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, কায়াহ রাজ্যের একটি শহরে আহত অবস্থায় আত্নসমর্পণ করছেন জান্তা সরকারের সেনারা।

জান্তা সরকারের মুখপাত্র বলছেন, উত্তর পূর্বাঞ্চলের শান রাজ্য, পূর্বের কায়াহ রাজ্য আর পশ্চিমের রাখাইন রাজ্যে সামরিক জান্তার সেনা সদস্যরা ভয়াবহ হামলার শিকার হচ্ছেন। অনেক স্থান থেকে সামরিক ঘাঁটি সরিয়ে নিতে হচ্ছে। কারণ বিভিন্ন সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে ড্রোন আর বোমা হামলা চালাচ্ছে বিদ্রোহী বিভিন্ন গোষ্ঠী। বিশ্লেষকরা বলছেন, মিয়ানমারের সেনারা আর আগের অবস্থানে নেই।

জরুরি যেকোন পরিস্থিতির জন্য নেইপিদোকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। গেলো তিন সপ্তাহ ধরে বিদ্রোহী বিভিন্ন গোষ্ঠী একজোট হয়ে শুরু করেছে 'অপারেশন ১০২৭'। এখন পর্যন্ত নয়টি শহর আর দুটি সীমান্তপথ দখলে নিয়েছে বিদ্রোহীরা। এরমধ্যে শান প্রদেশের ৫টি শহর, সাগাইং অঞ্চলের দুটি আর চিন প্রদেশের একটি শহর বিদ্রোহীদের দখলে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০২১ সালে অভ্যূত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা আসা জান্তাকে সবচেয়ে বড় পরীক্ষার মধ্যে ফেলেছে।

কয়েক দশক ধরে সেনাশাসনবিরোধী সংখ্যালঘু বিদ্রোহী বিভিন্ন গোষ্ঠীর সঙ্গে বিরোধ চলে আসছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর। ২০২১ সালে গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে জান্তা সরকার দেশের ক্ষমতায় আসার পর একত্রিত হয় গণতন্ত্রপন্থী সব বিদ্রোহী গোষ্ঠী। এই জাতিগত সংঘাতে মিয়ানমারের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের শিন রাজ্য ছেড়ে ভারত পালাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। তাদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছেন স্থানীয়রা।

এদিকে, সামরিক বাহিনী ও পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে দুই দিনের যুদ্ধ শেষে মিয়ানমার ও ভারতের মিজোরাম রাজ্যের একটি সীমান্ত ক্রসিং দখলে নিয়েছে মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী তিন সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী। সীমান্ত পথটির অবস্থান মিয়ানমারের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় চিন প্রদেশে। মিজোরামের সঙ্গে চিনের এটাই একমাত্র সীমান্তপথ নয়, তবে এ পথটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সংঘাত শুরুর পর জীবন বাঁচাতে এই পথ দিয়ে মিজোরামে পালিয়ে গিয়েছিলেন সীমান্তবর্তী বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৫ হাজার মানুষ। পালিয়েছেন জান্তা সরকারের সেনা সদস্যরাও।

ও হ পা

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর