এবার আল-শিফা হাসপাতালের ভেতরে ইসরাইলি অভিযান; বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র

.
বিদেশে এখন
0

হাসপাতালের নিচে হামাসের বাঙ্কার: ইসরাইল

বুধবার ভোরের আলো ফোঁটার আগেই গাজার আল-শিফা হাসপাতালের চারপাশ ঘিরে ফেলে ইসরাইলি সেনারা। হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ট্যাঙ্ক ও বুলডোজার নিয়ে প্রবেশ করে ।

কয়েকদিন ধরেই হাসপাতালে হামলা চালানোর হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছিলো তেল আবিব। এবার সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নেই ইসরাইলি সেনারা চড়াও হয়েছে গাজা উপত্যকার সবচেয়ে বড় এ হাসপাতালে।

ইসরাইলের অভিযোগ, গাজার হাসপাতালগুলোর নিচে হামাসের বাঙ্কার রয়েছে। সেখান থেকেই নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে যুদ্ধ পরিচালনার। এছাড়াও হামাসের গোপন সুড়ঙ্গের মুখ রয়েছে গাজার হাসপাতালগুলোতে। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার ভিডিওসহ তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করে তেল আবিব।

তাই হামাসকে নির্মূল করতেই ইসরাইলের প্রধান লক্ষ্যস্তুতে পরিণত হয়েছে হাসপাতালগুলো। বুধবার ভোরে টুইট করে আইডিএফ জানায়, বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করা তাদের উদ্দেশ্য নয়। তবে হামাসকে তারা ছাড়বে না। তাই হামাসকে আত্মসমর্পণেরও আহ্বান জানায় তারা।

হাসপাতালের নিচেই হামাসের হাতে বন্দীদের রাখা হয়েছে বলে দাবি ইসরাইলের। তবে হাসপাতালে হামলা করে নয় বরং হামাসের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধানের পথ খোঁজার অনুরোধ অসহায় ফিলিস্তিনিদের।

গাজার সবচেয়ে বড় আল-শিফা হাসপাতালে প্রায় সাড়ে ৬শ' রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। ইসরাইলি হামলার ভয়ে ৫ থেকে ৭ হাজার বেসামরিক নাগরিক হাসপাতালটিতে আটকে আছে। ১ হাজারের বেশি ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মী হাসপাতাল ভবনের ভিতরে রয়েছে। রয়েছে প্রায় ৩০ নবজাতক।

যুদ্ধ পরিস্থিতিতে যেকোন হাসপাতালে হামলা করাই যুদ্ধাপরাধের সমান। তাই আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করে ইসরাইরলকে এ ধরণের বর্বরতা না করার আহ্বান জানায় ফিলিস্তিনিরা।

ইসরাইলের সঙ্গে সুর মিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্রও দাবি করে, হাসপাতালের নিচেই হামাসের গোপন আস্তানা রয়েছে। তবে হাসপাতালে যুদ্ধ চায় না ওয়াশিংটন।

এদিকে হামাসকে নিশ্চিহ্ন করতে একের পর এক সর্বাত্মক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। মঙ্গলবার এর একটি ভিডিও প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সেখানে দেখা যায়, হামাসকে তাক করে বৃষ্টির মতো গুলি ছুঁড়ছে তেল আবিবের সেনারা। বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়া হচ্ছে হামাসের গোপন আখড়া।

আরও পড়ুন: