দরপতনে এআইয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিলিয়নেয়াররাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এনভিডিয়ার জেনসেন হুয়াংয়ের সম্পদ কমেছে ২ হাজার ১০ কোটি ডলার এবং ওরাকলের ল্যারি এলিসনের সম্পদ কমেছে ২ হাজার ২৬০ কোটি ডলার।
এ ক্ষতির তালিকায় আরো রয়েছে ডেলের মাইকেল ডেল যার ১ হাজার ৩০০ কোটি ডলার এবং বাইন্যান্সের চ্যাংপেং ঝাও যার ১ হাজারে ২১০ কোটি ডলার ক্ষতি হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রযুক্তি বিলিয়নিয়াররা প্রায় ৯ হাজার ৪০০ কোটি ডলার ক্ষতি সম্মুখীন হয়েছে এই দরপতনে, এটি মোট ক্ষতির ৮৫ শতাংশ।
সম্প্রতি চীনের এআই স্টার্টআপ ডিপসিক সাধারণ ব্যবহারকারীদের মনোযোগ আকর্ষণ করে, যার ফলে ফ্রি চ্যাটবট অ্যাপটি বিশ্বব্যাপী ডাউনলোডের শীর্ষ উঠে আসে।
কোম্পানিটির ৫৬ লাখ ডলারের এআই মডেল সিলিকন ভ্যালির তৈরি অন্যান্য ব্যয়বহুল এআই মডেল চ্যালেঞ্জ করছে বলে জানিয়েছে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। তারা আরো জানান, মূলত এ কারণেই মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
চীনের ওপর মার্কিন রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার ও উন্নত চিপের সীমিত অ্যাকসেস থাকা সত্ত্বেও ডিপসিকের এ সাফল্য অর্জন করতে পেরেছে। এটি এআই প্রযুক্তিতে সিলিকন ভ্যালির অত্যাধিক বিনিয়োগ ও ব্যয়কেও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।