৭ দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে ২০২২ সালে মারাত্মক আর্থিক সঙ্কটকে পড়ে শ্রীলঙ্কা। গত বছরের মার্চে আইএমএফের সহায়তা প্যাকেজে কিছুটা স্বস্তি আসে লঙ্কান অর্থনীতিতে। তবে ঋণ পুনর্গঠনে আরও পদক্ষেপ প্রয়োজন দেশটির। শ্রীলঙ্কার জন্য ২৯০ কোটি মার্কিন ডলার সহায়তার তৃতীয় পর্যালোচনা অনুমোদন করে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল।
এক বিবৃতিতে আইএমএফ জানায়, শ্রীলঙ্কাকে ১ হাজার ২৫০ কোটি মার্কিন ডলারের বন্ডহোল্ডার ঋণ পুনর্গঠন করতে হবে। এছাড়া, জাপান, চীন ও ভারতের মতো ঋণদাতাদের সঙ্গে ১ হাজার কোটি ডলার ঋণ পুনর্গঠন সম্পন্ন করলেই কেবল প্রকল্পটি এগিয়ে নেয়া সম্ভব।
বিবৃতিতে বৈশ্বিক ঋণদাতা সংস্থাটি আরও জানায়, লঙ্কান অর্থনীতিতে পুনরুদ্ধারের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত শ্রীলঙ্কাকে মোট ১৩০ কোটি মার্কিন ডলার সহায়তা দেয়া হচ্ছে। কর রাজস্ব বাড়ানোর লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার চালিয়ে যেতে হবে শ্রীলঙ্কাকে।
আইএমএফ প্রতিনিধি দলের মিশন প্রধান পিটার ব্রুর বলেন, ‘আইএমএফের উদ্দেশ্য পূরণে এ ধরনের পদক্ষেপ শ্রীলঙ্কার নতুন সরকারের প্রতিশ্রুতিতে আত্মবিশ্বাস জাগাবে। সংস্কারের গতিকে টিকিয়ে রাখা প্রোগ্রামের কঠিন পথকে সুরক্ষিত রাখবে। অর্থনীতিকে একটি স্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যাওয়াই একমাত্র লক্ষ্য।’
দক্ষিণ এশিয়ায় দেশটির অর্থনীতি এখনও ঝুঁকির মুখে রয়েছে বলে সতর্ক করেছে সংস্থাটি। যদিও তাদের পূর্ভাবাস, আগামী বছরে শ্রীলঙ্কার জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ২.৩ শতাংশ। বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস, আগামী ৩ বছরে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি হবে ৪.৪ শতাংশ।
অগ্রাধিকার ও লক্ষ্য অর্জনের জন্য একটি প্যাকেজ নিয়ে লঙ্কান সরকার সঙ্গে একমত হয়েছে আইএমএফ। যথাযথ প্রক্রিয়া শেষে সহায়তা প্যাকেজের চতুর্থ পর্যালোচনা শুরু হবে।