আগামী পাঁচ বছরের জন্য তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা ছাড়াও অনিল আম্বানিকে ২৫ কোটি রুপি (৩০ লাখ ডলার) জরিমানা করেছে ভারতের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড।
রিলায়েন্স হোম ফাইন্যান্স থেকে তহবিল সরানোর জন্য তিনি পরিকল্পনা করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এটি রিলায়েন্স গ্রুপের একটি ভর্তুকি প্রতিষ্ঠান।
নিষেধাজ্ঞার কারণে আম্বানিসহ বাকি ব্যবসায়ীরা সিকিউরিটিজ মার্কেটে প্রবেশ করতে পারবে না। এছাড়াও যেকোনো ধরনের বন্ড কেনা, বিক্রি বা এ সংক্রান্ত কোন লেনদেনেও যুক্ত হতে পারবে না বলে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সূত্রে জানা গেছে।
নিয়ন্ত্রক সংস্থার অভিযোগ, প্রতারণামূলক স্কিমের মাধ্যমে রিলায়েন্স হোম ফাইন্যান্স থেকে তহবিল হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। এরপর সেগুলোকে অযোগ্য ঋণগ্রহীতাদের দেয়ার পরিকল্পনাও করা হয়েছিল। এ বিষয়ে ইমেইলের মাধ্যমে রিলায়েন্স গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।
রিলায়েন্স গ্রুপ সাধারণত আর্থিক পরিষেবা, অবকাঠামো ও টেলিযোগাযোগ খাত নিয়ে কাজ করে থাকে। ২০০৬ সালে মুকেশ আম্বাানির পরিচালনায় থাকা রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে আলাদা হয় রিলায়েন্স গ্রুপ।
গ্রুপ প্রতিষ্ঠার পর রিলায়েন্স কমিউনিকেশন, ক্যাপিটাল ও ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফার্মের দেখভাল করেন অনিল। এসব প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া বা ঋণ পুনর্গঠনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল।
ভারতের বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা দুটি কারণে অনলি আম্বানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। একটি হলো কোম্পানি এবং এর স্টেকহোল্ডারদের ক্ষতির জন্য কোম্পানির উল্লেখযোগ্য তহবিল অপসারণ, এবং অ্যাকাউন্টের লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য হেরফের করে শেয়ারহোল্ডারদের কাছ থেকে গোপন করা।
সংস্থাটি জানায়, রিলায়েন্স হোম ফাইন্যান্সের মাধ্যমে ঋণ পরিশোধে ব্যর্থদের মধ্যে ৯ হাজার কোটি রুপি ঋণ দেয়া হয়েছে। যাদের অধিকাংশেরই কোনো ঠিকানা বা সম্পত্তি নেই।