রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য পরিচালনায় ব্রিকসের সদস্যভুক্ত অন্যান্য দেশ ব্যবহার করছে জাতীয় মুদ্রা, যা দিনদিন বাড়ছে। ইগর মোরগুলভ বলেন, 'রাশিয়ার সঙ্গে চীনের বাণিজ্য ২৪ হাজার কোটি ডলারে পৌঁছেছে। দুই দেশের মধ্যে ৯২ শতাংশ বাণিজ্য হয় রুবল আর ইউয়ানে। রাষ্ট্রদূত বলেন, 'ডলারের আধিপত্যকে পেছনে ফেলে আত্মনির্ভরশীল আর্থিক ব্যবস্থার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ব্রিকস।'
তিনি বলেন, 'একক মুদ্রার প্রচলনের বিষয়টি নিয়েও আলোচনা চলছে, কিন্তু সদস্য দেশগুলোতে তা নিয়ে দ্বিমত আছে। কারণ এই জোটে যুক্ত হয়েছে নতুন সদস্য দেশ। বর্তমানে এই জোটের সদস্য দেশ ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইথিওপিয়া, ইরান আর মিশর।
এর আগে গেলো মাসে রুশ কর্তৃপক্ষ জানায়, ব্রিকসের সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন চালুর জন্য কাজ করছে মস্কো। জাতীয় মুদ্রায় লেনদেনের জন্য নতুন প্লাটফর্ম তৈরির কাজ চলছে। রুশ কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, এর মধ্য দিয়ে সদস্য দেশগুলোর জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডিজিটাল সম্পত্তিকে জাতীয় মুদ্রায় ব্যবহারের সুযোগ তৈরি হবে।
আন্তর্জাতিক আন্তঃব্যাংক লেনদেন ব্যবস্থা সুইফটের বিকল্প খুঁজতে অভ্যন্তরীণ পেমেন্ট সিস্টেম চালুর চেষ্টা করছে রাশিয়া। ২০২২ সালে এই নেটওয়ার্ক থেকে রাশিয়ার সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে অনেক আর্থিক প্রতিষ্ঠান। রাশিয়ার এসপিএফএস আন্তঃব্যাংক ব্যবস্থা দেশের অভ্যন্তরে আর আন্তর্জাতিকভাবে আর্থিক লেনদেনের তথ্য আদান প্রদানের কাজ করে।
ব্রিকস সদস্যভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার জাতীয় মুদ্রায় লেনদেন ২০২৩ সালে দাঁড়িয়েছে ৮৫ শতাংশ, দুই বছর আগের তুলনায় যা ২৬ শতাংশ বেশি। ডলার আর ইউরো থেকে সরে এসে নিজেদের মধ্যে নিজস্ব মুদ্রায় লেনদেন বাড়িয়েছে ব্রিকস সদস্য দেশগুলো।