বিশ্বজুড়ে কম্পিউটার বিপ্লবের পিছনে যে কয়টি ব্র্যান্ডের নাম শোনা যায় তার মধ্যে একটি হলো ইন্টেল। ২০২৪ সালের তৃতীয় প্রান্তিকের একটি গবেষণায় দেখা গেছে বিশ্বজুড়ে ব্যক্তিগত কম্পিউটারের ৬২ শতাংশই ইন্টেলের প্রসেসর ব্যবহার করে।
১৯৭১ সালে ইন্টেল তাদের প্রথম প্রোগ্রামেবল মাইক্রো প্রসেসর ‘ইন্টেল ফোর ডাবল জিরো ফোর’ বাজারে আনে। যদিও ৯০ এর দশকে ঘটে যাওয়া কম্পিউটার বিপ্লবের আগে সর্বসাধারণের কাছে ইন্টেল নামটি এতোটা পরিচিত ছিল না। ৯০ এর দশকে বড় হওয়া যেকোনো কম্পিউটার ব্যবহারকারীর কাছে ইন্টেলের পেন্টিয়াম টু, থ্রি, ফোর, কোর টু ডুয়ো, সেলেরন নামগুলি খুবই পরিচিত।
পরবর্তীতে ২০০৮ সালে ইন্টেল মূলধারার বাজারে নিয়ে আসে কোর টু সিরিজের আপগ্রেড কোর আই থ্রি, ফাইভ, সেভেন ও নাইন সিরিজ। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই এখনও এই সিরিজের প্রসেসরই ব্যবহৃত হচ্ছে।
সবশেষ বাজারে এর ফোর্টিন্থ জেনারেশন এসেছে। তবে সম্প্রতি এক ঘোষণায় ইন্টেল জানিয়েছে কোর আই সিরিজের নতুন নামকরণ করা হয়েছে। এই ঘোষণার পর থেকে সিরিজটির প্রাইমারি সেগমেন্টের নাম হবে ইন্টেল কোর এবং অ্যাডভান্সড সেগমেন্টের নতুন নাম হবে কোর আল্ট্রা।
পারফরম্যান্স লেভেল বিচারে অ্যাডভান্সড সেগমেন্টে কোর আল্ট্রা ফাইভ, সেভেন ও নাইন প্রসেসর থাকবে। এই বছর এখন পর্যন্ত কোর আল্ট্রা নাইন সিরিজের পাঁচটি এবং সেভেন সিরিজের নয়টি প্রসেসর বাজারে এসেছে। তবে নতুন এই পরিবর্তনে শুধু আই সিরিজ নয় বরং অন্যান্য সিরিজেরও এই নামের অধীনে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
ইন্টেল কোর আল্ট্রা মূলত ইন্টেলের প্রিমিয়াম ক্যাটাগরির প্রসেসর যা আনলিমিটেড গেমিং, প্রোডাক্টিভিটি, ক্রিয়েটিভ আউটপুট দিতে সক্ষম। এতে ইন্টেলের সর্বাধুনিক আর্কিটেকচার ব্যবহার করা হয়েছে। এর সাথে রয়েছে নিউরাল প্রসেসিং ইউনিট বা এনপিইউ।
ধারণা করা হচ্ছে, এতে ইন্টেলের আর্ক জিপিইউ থাকতে পারে যাতে ব্যবহারকারীরা এতে গ্রাফিক্যাল ও এআই সংক্রান্ত কাজে আগের থেকেও বেশি গতি পাবেন।