বিদেশে এখন , প্রযুক্তি সংবাদ
তথ্য-প্রযুক্তি
0

আইফোন সিক্সটিন কী প্রযুক্তিপ্রেমীদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে!

আইফোন সিক্সটিন উন্মোচনের পর থেকেই বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তিপ্রেমীদের কাছে এর প্রো ম্যাক্স মডেলটির জয়জয়কার। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমের বিশ্লেষণ বলছে, এআই ফিচার সংযোজন ছাড়া নতুন সংস্করণে বড় ধরনের পরিবর্তন না আসায় এখনই হাতে থাকা আইফোন ফিফটিন প্রো ম্যাক্স বদলে ফেলার সময় আসেনি। কিন্তু স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি এস টুয়েন্টি ফোর আল্ট্রার সঙ্গে তুলনা করলে আইফোন প্রো ম্যাক্স সিক্সটিনকেই এগিয়ে রাখা হচ্ছে বিশ্লেষণে।

চারপাশে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ছড়াছড়ির মধ্যে এবার বাজার ধরতে ফোনে এআই ফিচার নিয়ে এসেছে অ্যাপল। সদ্য উন্মোচিত আইফোন সিক্সটিন সিরিজের প্রো ম্যাক্স মডেলটিতে রয়েছে আগের সবগুলো সংস্করণের চেয়ে আকারে বড় ডিসপ্লে, নতুন হার্ডওয়্যার ও ফিচার। কিন্তু গ্রাহকদের প্রশ্ন, ঠিক আগের মডেল আইফোন ফিফটিন প্রো ম্যাক্সকে কতটুকু টেক্কা দিতে পারবে নতুন এই সংস্করণ।

আইফোন সিক্সটিন প্রো ম্যাক্সের বড় বিশেষত্ব, এতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স আছে, যেটা আইফোন ফিফটিন প্রো ম্যাক্সে নেই। নতুন সংস্করণে দুই জিবি বাড়ানো হয়েছে র‌্যাম। আগের সংস্করণের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে ফোনের আকারও।

আইফোন সিক্সটিন প্রো ম্যাক্সে রয়েছে নেক্সট জেনারেশন চিপসেট ‘এ এইটিন প্রো’। এই চিপসেটের কারণে মোবাইল কাজ করবে আরও দ্রুতগতিতে, খেলা যাবে ড্রেথ স্ট্র্যান্ডিংয়ের মতো গেমস। আইফোন ফিফটিন প্রো ম্যাক্সে এ সেভেনটিন প্রো চিপসেট ব্যবহার করা হয়েছিল। সঙ্গে এবারের সংস্করণটিতে বেড়েছে ব্যাটারি সক্ষমতাও।

আইফোনের নতুন সংস্করণে বাড়ানো হয়েছে ক্যামেরার মান। ল্যান্ডস্কেপ আর ম্যাক্রো শ্যুটের জন্য এতে রয়েছে ৪৮ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা ওয়াইড লেন্স। আইফোন প্রো ম্যাক্স ফিফটিনে যেটা ছিলো ১২ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা ওয়াইড লেন্স। সিক্সটিন প্রো ম্যাক্সে নতুন সেন্সরের কারণে অল্প আলোতেও আসবে অসাধারণ ছবি।

আইফোন সিক্সটিনের আরেকটি বিশেষত্ব, ক্যামেরা কন্ট্রোল বাটন, যেটা পাওয়ার বাটনের নিচেই অবস্থিত। এই বাটনের মধ্য দিয়েই ক্যামেরার সব ফিচারের কাজ করতে পারবেন ব্যবহারকারী। এই ফিচার আইফোন ফিফটিন প্রো ম্যাক্সে নেই।

এদিকে, আলোচনা উঠেছে, অ্যাপলের নতুন এই সংস্করণে এমন কী রয়েছে, যা প্রতিদ্বন্দ্বী স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি এস টুয়েন্টি ফোর আল্ট্রায় নেই। বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে, আইফোন সিক্সটিন প্রো ম্যাক্স এআই নিয়ে আসলেও, গ্রাহকরা যদি ছবি থেকে কোন জিনিস সরিয়ে দেয়ার মতো ফিচার চান, তবে তাদেরকে অ্যাপলের পরিবর্তে স্যামসাং এস টুয়েন্টি ফোর আলট্রা বেছে নিতে হবে। এ নিয়ে সম্প্রতি একটি ব্যাঙ্গাত্বক বিজ্ঞাপনও বানিয়েছে টেক জায়ান্ট স্যামসাং।

জানুয়ারিতে বাজারে আসার পর এর মধ্যেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে স্যামসাংয়ে গ্যালাক্সি এস টুয়েন্টি ফোর আল্ট্রা। আইফোনের নতুন সংস্করণ মাত্রই বাজারে আসায় দুই ফোনের তুলনা এখন গ্রাহকদের মাঝে তুঙ্গে। ডিসপ্লেতে উজ্জ্বলতার দিক দিয়ে গ্যালাক্সি এস টুয়েন্টি ফোরের তুলনায় কিছুটা পিছিয়ে সিক্সটিন প্রো ম্যাক্স।

ক্যামেরায় খুব বেশি পার্থক্য না থাকলেও প্রসেসরের দিক দিয়ে এগিয়ে অ্যাপল। গ্যালাক্সি এস টুয়েন্টি ফোর আল্ট্রায় রয়েছে স্ন্যাপড্রাগনের ‘এইট জেন থ্রি’ অক্টাকোর প্রসেসর। যেখানে অ্যাপল ব্যবহার করছে ‘এ এইটিন প্রো চিপ’। নতুন ফিচার আর এআই সংযোজনের কারণে প্রতিযোগিতায় এরই মধ্যে এগিয়ে গেছে অ্যাপল। ব্যাটারি সক্ষমতাও অ্যাপলের স্যামসাংয়ের তুলনায় নিঃসন্দেহে এগিয়ে থাকবে আইফোন সিক্সটিন প্রো ম্যাক্স।

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর