শত শত অভিযোগ মোবাইল কোম্পানি, বিটিসিএল, আইএসপি আবার কোনটি খোদ বিটিআরসির বিরুদ্ধে। মূলত বছরে একবার বিটিআরসি গণশুনানির আয়োজন করে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানটি।
বুধবার (৮ মে) এ আয়োজনে নানা শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত হয়ে জানতে চান তাদের অভিযোগের বিষয়ে।
গ্রাহকদের অভিযোগ গত কয়েকবছরে ইন্টারনেটের দাম যে পরিমাণে বেড়েছে বিপরীতে মেয়াদ কমেছে অনেকটা। এতে গ্রাহক সুবিধার বিপরীতে অর্থ খরচ বেড়েছে।
এই যেমন রবি ৭ দিনের ১ জিবির প্যাকেজের দাম রাখছে ৪৮ টাকা, আর গ্রামীণফোনের একই মেয়াদের প্যাকেজ ৬৯ টাকা, বাংলালিংকের দুই জিবি কিনতে হচ্ছে ৬৮ টাকায়। যা গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দাম ছিল ১০ থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত কম।
গ্রাহকরা বলেন, আমাদের ব্যালেন্সের নিরাপত্তা নাই। সেখানে লুটপাট করা হচ্ছে। অন্যসব দেশে ফাইভ জি নেটওয়ার্ক খুব সহজেই পাওয়া যায়। কিন্তু আমাদের দেশে এখনো পাওয়া যায় না।
আনলিমিটেড মেয়াদ বাড়ানোর খরচ কমানোর জন্য বিটিআরসি কাজ করছে বলে জানান সিস্টেমস এন্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক মোহাম্মদ খলিল-উর-রহমান। বলেন, 'আমরা পুনরায় এটা নিয়ে আলোচনায় বসবো। সেই সাথে একটা গ্রাহকবান্ধব ইন্টারনেট সেবা চালু করতে পারবো বলে আশা করছি।'
কিন্তু এই সময়ে যখন ফাইভজির প্রাপ্যতা নিশ্চিত হওয়া জরুরি তখন অনেক জায়গায় পাওয়া যায় না ফোরজি সেবা। গ্রাহকরা তা নিয়ে অসন্তুষ্টির কথা জানায়।
ফোরজি সেবা আরও শক্তিশালী করে ফাইভজির দিকেও সরকার মনোযোগী হচ্ছে বলে জানান বিটিআরসির ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড অপারেশন্স বিভাগের মহাপরিচালক কাজী মোস্তাফিজুর রহমান।
অন্যদিকে বিটিসিএল ও অবৈধ আইএসপি নিয়ে অভিযোগ আছে বেশ। এখনও বেশি টাকা দিয়েও ধীরগতির সংযোগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ।
বেসরকারি মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে টেলিটককেও শক্তিশালী করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান টেলিযোগাযোগমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। বলেন, 'গ্রাহকদের অব্যবহৃত ইন্টারনেট ব্যালেন্স যেন কোন নেটওয়ার্ক অপারেটর বা প্রাইভেট কোম্পানি অপচয় করতে না পারে, সেজন্য আমরা বিটিআরসি থেকে পদক্ষেপ নেবো।'
বিটিআরসির সব শেষ তথ্য অনুযায়ী , দেশে মুঠোফোন গ্রাহক প্রায় ১৯ কোটি ২২ লাখ, আর ইন্টারনেট গ্রাহক প্রায় ১৩ কোটি ৪৭ লাখ। যদিও টেলিযোগাযোগের প্রতিটি শাখায় গ্রাহকদের এখনও অভিযোগ রয়েছে অনেকটা।