দেশে প্রথমবারের মতো হয় এমন আয়োজন। আজ আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়।
অলিম্পিয়াডে বয়সভিত্তিক তিনটি গ্রুপে অংশগ্রহণ করে শিক্ষার্থীরা। ৬ থেকে ৯, ১০ থেকে ১২ এবং ১৩ থেকে ১৪ বছর বয়সি শিক্ষার্থীরা বয়স অনুযায়ী দু'টি প্রিলিমিনারি এবং সেকেন্ডারি অনলাইন পরীক্ষার মাধ্যমে বাছাইকৃতদের নিয়ে চূড়ান্ত পর্ব হয়েছে। দেশের বিভিন্ন জেলার ১২৪ জন শিক্ষার্থী ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ নেয়। চূড়ান্ত পর্বে তিন গ্রুপের ৯ জনকে রানার্স আপ, দ্বিতীয় রানার্স আপ এবং চ্যাম্পিয়ন হয় ও একজন এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পায়।
অলিম্পিয়াডের ফাইনালে পরীক্ষা দিচ্ছে শিক্ষার্থীরা। ছবি: এখন টিভি
৬ থেকে ৯ বছর বয়সী গ্রপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, চট্টগ্রামের সিডিএ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের নুসাইব হাসান লাবিব। ১০ থেকে ১২ বছর বয়সী গ্রপে চ্যাম্পিয়ন ঢাকা এন. আলম মেরিট কেয়ার স্কুলের শিক্ষার্থী আমিনুর রাহমান সাজিম। এবং ১৩ থেকে ১৪ বছর ক্যাটাগরি থেকে মুন্সি আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজ, ঢাকা থেকে লিদিকা রাহমান। এর বাইরেও এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে কুমিল্লার নওয়াব ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাদেদা জাওয়াদ ত্রানা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্বাহী সেল ও পিইপিজেড এর মহাপরিচালক শাহিনা সুলতানা। তিনি বলেন, 'বিশ্বকে বদলে দেওয়ার ক্ষমতা ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের হাতে। তারাই আগামী দিনে আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর পড়াশোনায় পরিপূর্ণ আনন্দদায়ক করতে গেলে হাতে-কলমে বিজ্ঞান শিক্ষা খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষত মহাকাশ বিজ্ঞানের নতুন নতুন অন্বেষণ। আজকের প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করার জন্য স্পেস এক্সপ্লোরেশন অলিম্পিয়াড সামনে আরও বেশি ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি।'
স্পেস এক্সপ্লোরেশন অলিম্পিয়াড এর ইউএসএ, কান্ট্রি হেড, মোহাম্মাদ মাহনী উজ জামান বলেন, 'শিক্ষার্থীরা এই বয়সে যা করছে, তা আমরা ওই বয়সে ভাবতেও পারিনি। এদের ব্রেন ভালো, ভালো করছে। আমার মনে হয় এদের মাধ্যমে বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণায় অনেক এগিয়ে যাবে।'
বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরামের প্রেসিডেন্ট আরিফুল হাসান অপু বলেন, 'এই বছরের শেষ নাগাদ এই প্রোগ্রামটা আমরা যুক্তরাষ্ট্রেও শুরু করতে যাচ্ছি। বিভিন্ন দেশের সাথে যুক্ত হয়ে এবং শিক্ষা বিনিময়ের মাধ্যমে আমরা আমাদের বাচ্চাদের মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে কাজ ও প্রশিক্ষণ দেবো।'
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটিক্স & মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল বলেন, 'গণিত আর বিজ্ঞান তুলনামূলক কঠিন বিষয়। অনেকেই এটা ভয় পায়। আর এগুলোতে হাতে-কলমে কাজ করতে হয়। আজকের এই শিশুরা এত ছোট বয়সে যে এত বড় কিছুর সাথে পরিচয় হচ্ছে, মহাকাশ, চাঁদ, মঙ্গল গ্রহ নিয়ে ভাবছে এটাই অনেক বড় বিষয়।'