তথ্য-প্রযুক্তি
0

চট্টগ্রামে পরীক্ষামূলক চালু হচ্ছে পে-পার্কিং

দুর্ভোগের নগরী চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলক চালু হতে যাচ্ছে পে-পার্কিং। রোববার (৩ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাথে বি ট্রেক সলিউশন নামের একটি প্রতিষ্ঠানের চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে এই সুবিধা চালুর উদ্যোগ নতুন গতি পেল।

মাত্র ৬০ বর্গমাইলের এই নগরে প্রতি মুহূর্তেই বাড়ছে মানুষ আর যানবাহনের চাপ। বিআরটিএ'র হিসেবে নগরে দিনে নতুন করে নিবন্ধিত হচ্ছে শতাধিক যানবাহন। চলছে ১৩ হাজার সিএনজি অটোরিক্সা, ৪০ হাজার ব্যক্তিগত গাড়ি, সাড়ে তিন হাজার গণপরিবহনসহ লাখ লাখ রিকশা। অথচ এতো যানবাহনের এই নগরে নেই কোন আদর্শ পার্কিং ব্যবস্থা। নেই বাস বে, ট্রাক ট্রার্মিনাল বা হাসপাতাল-স্কুল মার্কেটভিত্তিক পর্যাপ্ত পার্কিং সুবিধা। তাই যে যেখানে যেভাবে খুশি গাড়ি রাখায় হলো, এই নগরের চিরাচরিত পার্কিং সংস্কৃতি।

পার্কিং ও যানজট সমস্যা সমাধানে গত বছরই পে-পার্কিং চালুর ঘোষণা দিয়েছিল চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। দেরিতে হলেও সেই উদ্যেগ আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে। নগরে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে তারা চালু করতে যাচ্ছে পে পার্কিং ব্যবস্থা।

নগরের আগ্রাবাদ এলাকার কমার্স কলেজের আশপাশ ও ব্যাংকপাড়ার কয়েকটি সড়কের কম ব্যবহৃত অংশকে ঘিরে আপাতত পাইলট ভিত্তিতে চালু হবে এই প্রকল্প। রোববার বি ট্রেক সলিউশন নামে একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর হয়।

বি ট্রেক সলিউশনসের সিইও মো. তানভীর সিদ্দিকী বলেন, আমাদের যে স্মার্ট পার্কিং সিস্টেম রয়েছে সেখানে একটি অ্যাপ থাকবে। যেকোন স্মার্ট ফোন থেকে সেই অ্যাপ ব্যবহার করে নগরবাসী পে-পার্কিং সুবিধা নিতে পারবেন।’

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘পে-পার্কিংয়ের মাধ্যমে চট্টগ্রামে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে। প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এই পার্কিং সুবিধা পাওয়া যাবে।’

তিন ও চার চাকার গাড়ির জন্য ঘণ্টায় ৩০ টাকা, ও দুই চাকার জন্য ১৫ টাকা হিসেবে চার্জ করা হবে। আপাতত ৪০০ গাড়ির জন্য এই পার্কিং সুবিধা রাখা হবে।

নগরবাসী বলেন, ‘প্রতিটি এলাকায় নির্দিষ্ট স্থানে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকলে সবারই সুবিধা হবে। পাশাপাশি নগরীর অর্ধেক যানজট কমে যাবে।

এই ব্যবস্থা চালু করতে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সহায়তা চায় কর্পোরেশন। এটি সফল হলে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য এলাকাতেও পে-পার্কিং ব্যবস্থা চালুর ঘোষণা রয়েছে।