চলতি বছরের মে থেকে জুলাই। মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট পাওয়ার আশায় দূতাবাস থেকে প্রবাসী সেবা কেন্দ্রে বারবার ছুটে গেছেন সৌদি প্রবাসী বাংলাদেশিরা। প্রতিবারই রাজধানী ঢাকার আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে কারিগরি জটিলতার কারণ দেখিয়ে তাদের ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। সাত-আট মাস ধরে বড় অঙ্কের জরিমানা দিয়ে কাজের অনুমতিপত্র বা আকামা সংগ্রহ করতে হয়েছে প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের।
এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) স্বস্তির খবর শুনিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা একটি ভিডিও বার্তায় তিনি জানান, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সৌদি আরব ও মালয়েশিয়ার প্রবাসীদের আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে এমআরপি বা মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট দেয়া হবে। এমন খবরে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন সৌদি আরবের প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
প্রবাসীদের একজন বলেন, ‘এমআরপি পাসপোর্ট আমরা দীর্ঘদিন ধরে পাচ্ছি না। আশা করছি এখন থেকে পাবো।’
এমন খবরে খুশি মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিরা। নতুন করে জোরালো আহ্বান জানিয়েছেন, প্রবাসীদের এমআরপি পাসপোর্টের তথ্যের সঙ্গে মিল রেখে ই-পাসপোর্ট তৈরির বিধান যুক্ত করার।
এদিকে পাসপোর্ট জটিলতায় চাকরি হারিয়ে দূতাবাস থেকে ট্রাভেল পার্মিট নিয়ে দেশে ফিরতে হয়েছে কাতারে থাকা বহু প্রবাসীকে। এমন পরিস্থিতিতে শুধু মালয়েশিয়া ও সৌদি আরবকে অগ্রাধিকার দিয়ে নয়, কাতারে অপেক্ষায় থাকা ১০ হাজারের বেশি প্রবাসী বাংলাদেশির এমআরপি পাসপোর্টও দ্রুত দেয়ার দাবি রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের।
কাতার প্রবাসী একজন বলেন, ‘আমরা চাই কাতারেও এই সুবিধার আওতায় আনা হোক।’
প্রবাসীরা মনে করেন, পাসপোর্টের জটিলতা পুরোপুরি কেটে গেলে কাজের অনুমতিপত্র পাওয়া যেমন সহজ হবে, তেমনি বাড়বে রেমিট্যান্স প্রবাহ। পাশাপাশি, এ ধরনের জটিলতা আবারও যেন নতুন করে সৃষ্টি না হয়, সেদিকেও নজর দিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের।