পাহাড়ের কোলে নির্মাণ করা আঁকাবাঁকা সড়ক পর্যটকদের মধ্যে যোগ করেছে বাড়তি আকর্ষণ। সড়কের পাশে উন্মুক্ত বাজারে শোভা পাচ্ছে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ফলমূল, সবজি। বহু মানুষের জীবন জীবিকার ব্যবস্থা করেছে এসব বাজার।
প্রবাসী ব্যবসায়ীদের একজন বলেন, ‘স্থানীয় আম, টমেটো, সবজি এখানে আছে। এইসবের চাহিদা বেশি এখানে।’
এছাড়া ফুজাইরাহ শহরের প্রাণকেন্দ্রে বিভিন্ন ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছেন বাংলাদেশিসহ এশিয়ার অনেক নাগরিক।
গ্লোবাল মিডিয়া ইনসাইটের তথ্য মতে, ফুজাইরাহ অঞ্চলে প্রায় আড়াই লাখ মানুষের বসবাস। সমুদ্র বন্দর, বিমান বন্দর এবং ওমানের সঙ্গে সড়ক পথে সরাসরি যোগাযোগ থাকায় অঞ্চলটি ব্যবসা সমৃদ্ধ। তেল উৎপাদন শুরুর পর শহরটির অবকাঠামোগত উন্নয়নও চোখে পড়ার মতো।
বহু বাংলাদেশি প্রবাসী তাদের পরিবার নিয়ে এ অঞ্চলে বসবাস করছেন প্রায় ৪০ বছর ধরে। সরকারি-বেসরকারি চাকরি ও বিভিন্ন ব্যবসায় সফলতাও পেয়েছেন অনেকে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফুজাইরাহ প্রবাসী মোহাম্মদ মোক্তার মিয়া বলেন, ‘বাংলাদেশিরা মোটামুটি এখানে ব্যবসার দিকে অগ্রসর আছে। তবে ভিসা জটিলতা রয়েছে এখানে।’
সড়ক যোগাযোগ, পর্যটক, শিক্ষা ও চিকিৎসাক্ষেত্রে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে ফুজাইরাহ। ৪৫০ বর্গমাইল আয়তনের এই অঞ্চলটি ধীরে ধীরে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে।