প্রবাস
0

গ্রীষ্মে ইতালিতে বেড়েছে পর্যটক, চাঙ্গা হোটেল-রেস্তোরাঁ ব্যবসা

২০২৩ সালের তুলনায় চলতি বছরের গ্রীষ্মে ইতালিতে বেড়েছে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আনাগোনা। এতে বেশ চাঙ্গা হয়ে উঠেছে হোটেল-রেস্তোরাঁসহ দেশটির পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা। ভ্রমণ পিপাসুদের এমন আনাগোনা অব্যাহত থাকলে বছর শেষে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা। এছাড়াও, ২০২৫ সালে ভ্যাটিকান সিটির জুবিলি উৎসব ঘিরেও ব্যাপক প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন তারা।

রোমান সাম্রাজ্যের স্মৃতিধন্য দেশ ইতালি। রাজধানী রোম শহর ঘিরে গড়ে ওঠা দেশটির জনপদের প্রতিটি পরতে পরতে রয়েছে অসংখ্য দর্শনীয় স্থান। যা দেখতে গ্রীষ্ম মৌসুমে ভ্রমণপিপাসুদের ভিড় থাকে সবচেয়ে বেশি। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। এই মুহূর্তে দেশি-বিদেশি পর্যটকে ঠাসা ইতালির প্রায় সবগুলো পর্যটন নগরী।

পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বের ভ্রমণ পিপাসুদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে থাকা দক্ষিণ-পশ্চিম ইউরোপের দেশ ইতালিতে চলতি বছরের শুরু থেকে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটক আসতে শুরু করে। এতে স্থানীয়দের পাশাপাশি প্রবাসী বাংলাদেশিদের ব্যবসা-বাণিজ্যেও দেখা দিয়েছে চাঙ্গাভাব। এভাবে চলতে থাকলে বছর শেষে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশাবাদী প্রবাসী ব্যবসায়ীরা। একজন বলেন, ‘প্রচুর পর্যটক আসছে আমরা আশাবাদী বছর শেষে ভালো ব্যবসা হবে।’ 

চলতি গ্রীষ্মে এখন পর্যন্ত ইতালিতে প্রায় সাড়ে ২১ কোটি পর্যটক ভ্রমণ করেছেন। যা ২০২৩ সালের তুলনায় এক দশমিক ছয় শতাংশ বেশি। রেকর্ড সংখ্যক আনাগোনা ছিল রোম, ভেনিস, মিলান, নেপলস, ভেরোনা ও ফ্লোরেন্সের মতো পর্যটন নগরীতে। ঐতিহাসিক স্থাপনা ও অনেক মিউজিয়াম থাকায় দেশটিতে ইতিহাসপ্রেমী পর্যটকদের পদচারণা থাকে সবচেয়ে বেশি।

সমৃদ্ধ ইতিহাস, শৈল্পিকতা আর শতাব্দীর পর শতাব্দী বিস্তৃত দেশটির পর্যটন খাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে ইতালি প্রবাসী বাংলাদেশিরা। সামারের শেষ সময়ে এসেও পর্যটকদের পদচারণায় মুখর শাশ্বত শহর রোম। ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা, ২০০০ সালের ২৫ বছর পর, ভ্যাটিকানের জয়ন্তী উপলক্ষে আগামী বছর রেকর্ড সংখ্যক পর্যটকের আগমন ঘটবে প্রাচীন এই নগরীতে।

ইএ