শ্রমিক ঘাটতি মেটাতে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে শ্রমিক নেয়ার ঘোষণা দিয়েছিল ইউরোপের অন্যতম বড় অর্থনীতির দেশ ইতালি। সেই সুযোগে ২০২০ সাল থেকে দেশটির শ্রম বাজারে প্রবেশের নিয়মিত সুযোগ পেয়ে আসছে বাংলাদেশ। তবে এ প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন স্বয়ং দেশটির প্রধানমন্ত্রী জর্জা মেলোনি।
বাংলাদেশের সংঘবদ্ধচক্রের অপরাধের কথা উল্লেখ করে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান ইতালির প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, 'ইতালিতে শ্রমিক প্রবেশে সবচেয়ে বেশি সুযোগ নিয়েছে বাংলাদেশ। বছরের প্রথম পাঁচ মাসে অবৈধ পথে ইতালিতে সবচেয়ে বেশি মানুষ প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ থেকে। আমরা জানতে পেরেছি বাংলাদেশিদের সংঘবদ্ধচক্র তাদের দেশের মত ইতালিতেও অপরাধ করে যাচ্ছে। সরকারিভাবে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার সময় এসেছে।'
অপরাধচক্রকে নির্মূল করতে মন্ত্রী পরিষদে অনতিবিলম্বে প্রস্তাব উত্থাপন ও পাশ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান দেশটির সরকারপ্রধান। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ থাকায় রোমের শ্রম বাজারে ঢাকা আবারও কালো তালিকাভুক্ত হবার শঙ্কার কথা জানান বিশেষজ্ঞরা।
আগামীতে শ্রমিক নিয়োগের প্রক্রিয়া আরও কঠোর ও যুগোপযোগী করবে ইতালি। একইসঙ্গে বিভিন্ন দেশের দ্বিপাক্ষিক চুক্তিতে সংশোধনী আনার চেষ্টা করার কথা জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী।
দালালচক্রের অপকর্মে ২০১২ থেকে আট বছর ইতালির শ্রম বাজারে কালো তালিকাভুক্ত ছিল বাংলাদেশ। প্রবাসীরা মনে করছেন, আবারও কালো তালিকাভুক্ত হলে বাংলাদেশের সুনামহানির পাশাপাশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে রেমিট্যান্স প্রবাহে।