ফুঁসে উঠছে তিস্তার ভয়ঙ্কর রূপ। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গেল কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে অবনতি হয়েছে তিস্তার বন্যা পরিস্থিতি। জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, কালিম্পং ও সিকিমসহ উত্তরের জেলাগুলো থেকে আসা পানিতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এর স্তর। সেই সঙ্গে যোগ হচ্ছে পাহাড়ি ঢল।
প্রবল বৃষ্টিতে পানির স্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে গজলডোবা তিস্তা ব্যারেজে। রোববার (৩০ জুন) সকালে ২ হাজার ৬৯৮ কিউসেক পানি ছাড়া হয়েছে বলে জানায় সেচ দপ্তর।
তিস্তার পানি বাড়ায় সংলগ্ন লালটং বস্তি, চাপাভাঙ্গা ও পদমতির নিচু এলাকায় তলিয়ে যেতে শুরু করেছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে তিস্তার আশপাশের মানুষ।
তিস্তা নদীর পাড়ে অবস্থিত মেখলীগঞ্জ শহর থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত নদীর দু'পাশে জারি রয়েছে সর্বোচ্চ সর্তকর্তা-রেড এলার্ট। অন্যান্য নদীগুলোতে দেখানো হয়েছে হলুদ সংকেত। ভারতের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, আগামী ৫ দিন গোটা উত্তর পূর্ব ভারতজুড়ে ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।
এদিকে ভারতের দিল্লিতে রেকর্ড বৃষ্টিতে প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ জন। শহরের নিচু এলাকাগুলোতে এখনও পানি জমে আছে। এ পরিস্থিতিতে রাজধানীজুড়ে জারি রয়েছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা অরেঞ্জ এলার্ট।