কুড়িয়ে পাওয়া ১০ টন বর্জ্যের ‘প্লাস্টিক দানব’

প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি ‘দানব’ | ছবি: এখন টিভি
0

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে নির্মাণ করা হয়েছে ৫০ ফুট উচ্চতার ‘প্লাস্টিক দানব’। সমুদ্র সৈকত থেকে কুড়িয়ে পাওয়া ১০ টন প্লাস্টিক বর্জ্য দিয়ে তৈরি এই ভয়ানক অবয়ব যেন প্লাস্টিক দূষণের ভয়াবহতার সাক্ষ্য বহন করছে। সমুদ্রে প্লাস্টিক দূষণ রোধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নিয়েছে আয়োজকরা।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের অন্ধকার ভেদ করে উঠে এসেছে লাল চোখের এক ভয়ানক দানব। বিশাল সেই দানবের ৫০ ফুট উঁচু দেহ, যার চাপেই ফেটে গেছে পৃথিবীর প্রতীকী গোলক, বেরিয়ে আসছে অজস্র প্লাস্টিক। প্রতীকী হলেও, প্লাস্টিক দূষণের ভয়াবহ বাস্তবতার নির্মম প্রতিচ্ছবি যেন এ দানব।

জেলার বিভিন্ন সৈকত থেকে কুড়িয়ে আনা প্রায় ১০ টন প্লাস্টিক বর্জ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিল্পীরা নির্মাণ করেছেন এ অবয়ব। (বুধবার, ২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় জনসচেতনতামূলক এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক।

সুগন্ধা ও সীগাল পয়েন্টের মাঝামাঝি বালিয়াড়িতে স্থাপিত দানবটি দেখতে ভিড় করছেন পর্যটক ও স্থানীয়রা।

দর্শনার্থীরা জানান, এর পরবর্তী প্রজন্ম প্লাস্টিকের ব্যবহার নিয়ে সচেতন থাকবে। তারা প্লাস্টিক নিয়ে কাজ করবে। প্লাস্টিকের ফলে যে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে সবাই এ বিষয়টি বুঝতে পারবে এর মাধ্যমে বলে জানান তারা।

আরও পড়ুন:

আয়োজকরা বলছেন, পর্যটকদের ফেলে যাওয়া প্লাস্টিক বর্জ্যের কারণে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে দূষণ। এতে হুমকির মুখে পড়ছে কচ্ছপ, ডলফিনসহ সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য। এ প্রেক্ষাপটে দূষণ রোধ করতেই এমন আয়োজন, যা পুরো পর্যটন মৌসুমজুড়ে উন্মুক্ত থাকবে।

বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন স্বেচ্ছাসেবক মুহাম্মদ মুবারক বলেন, ‘আমাদের সংগৃহীত প্লাস্টিক দিয়ে এটি তৈরি করা হয়েছে। আমরা বুঝাতে চেয়েছি প্লাস্টিক সমুদ্র থেকে এসে আমাদের বিশ্বকে গ্রাস করছে।’

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল মান্নান বলেন, ‘এ প্লাস্টিকগুলো সমুদ্রে যাচ্ছে। আমাদের জীববৈচিত্র্যকে নষ্ট করছে। আমাদের বিভিন্ন প্রণিকে ধ্বংস করছে। এ প্লাস্টিকগুলো বিভিন্ন মাধ্যমে মানুষের শরীরে যায় মাইক্রোপ্লাস্টিক হিসেবে। আমাদের রক্তে মিশে মস্তিষ্কর ক্ষতি করে।’

আয়োজকদের বিশ্বাস, বিশাল এ প্লাস্টিক দানবই হয়ে উঠবে পর্যটক ও স্থানীয়দের মাঝে সচেতনতা তৈরির নতুন বার্তা।

এফএস