পৃথিবীর ফুসফুস বলা হয় অ্যামাজন বন। ৭০ লাখ বর্গকিলোমিটারের এই অ্যামাজন ল্যাটিন আমেরিকা অঞ্চলে ঘেরা। যা ৯টি দেশের সাথে সংযুক্ত। এর মধ্যে একটি ব্রাজিল।
অ্যামাজন বনের তীর ঘেঁষা সেই ব্রাজিলের ছোট্ট শহর বেলেম বসেছে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনের ৩০তম আসর। যেখানে অংশ নিচ্ছেন ১৯৪টি দেশের সরকার প্রধান ও তাদের প্রতিনিধি, শতশত পরিবেশবাদী সংগঠনের কর্মীরা। তবে এবারের সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্যই হলো প্রতিশ্রুতি নয়, বরং পরিবেশ রক্ষায় এবার চাওয়া কার্যকর পদক্ষেপ।
সম্মেলনের তৃতীয় দিন কপ থার্টির ভেন্যুতে বিভিন্ন দেশের প্যাভিলিয়ন কিংবা স্টলগুলো সেজেছে তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও দেশিয় জৌলুসে। স্টলে স্টলে পরিবেশ রক্ষায় নিজ দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সাইড ইভেন্ট ও নানা আলোচনা।
স্টলগুলো যখন চোখ ধাঁধানো আয়োজনে ভরপুর তখনও বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন অপ্রস্তুত। শেষ হয়নি কাজ। তাই প্যাভিলিয়নে দেখা যায় মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ উপদেষ্টার পাশে স্টল সাজাতে ব্যস্ত শ্রমিকরা।
আরও পড়ুন:
এ বিষয়ে উপদেষ্টার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এ দায়িত্ব পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে ব্রাজিলের দূরত্ব বেশি হওয়ায় প্রস্তুতি নিতে দেরি হয়েছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে অনেক দূরে হওয়ার কারণে ও কিছু অসুবিধা থাকায় দেরি হয়েছে।’
এবারের আয়োজনে বাংলাদেশ থেকে প্রধান উপদেষ্টা কিংবা পরিবেশ উপদেষ্টা অংশ নিচ্ছেন না। তবে তাদের প্রতিনিধিরা দেশের স্বার্থে দরকষাকষি করবেন বলে জানান প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা আসবেন না। আমরা যেটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি সেটার ফান্ড না পায় তাহলে আমাদের ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে থাকবে। যারা ধনী দেশ তাদের বুঝতে হবে। এই আলোচনা আমরা করবো।’
জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবারের আয়োজনে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন ও ভারতসহ অনেক দেশের অংশ না নেয়া সম্মেলনের গুরুত্ব কমিয়ে দেবে।
জলবায়ু বিশেষজ্ঞ মনজুরুল হান্নান খান বলেন, ‘রাশিয়া নেই। চায়না আসবে কিনা এখনো জানি না। আমাদের প্রধান উপদেষ্টাও আসেনি। তিনি একজন গ্লোবাল ফিগার। তিনি যদি এসে কথা বলতেন আমাদের মনে হয় সুযোগ ছিল আমাদের পক্ষে সিদ্ধান্ত নেয়ার।’
আগামী ২১ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে ৩০তম জলবায়ু সম্মেলনের এবারের বিশ্ব আসর।




