হেমন্তের রাতে ঋতুর ধারায় এখন অগ্রহায়ণ মাস। আকাশে ভাঙা চাঁদ, প্রকৃতিতে শীতের বার্তা। রাজধানীর বাতাসে শিরশির ভাব। মৃদু শিশির ঝরা রাত নিয়ে শীত আসে উদাসী সন্ন্যাসীর বেশে।
শীতের এ সৌন্দর্য যেন রঙে রসে উজ্জ্বল। বাংলার ঋতুর রঙ্গমঞ্চে উল্লেখযোগ্য জায়গাজুড়ে শীতের অবস্থান।
রাতে পথে নামলে বোঝা যায় যারা সড়কে কাজ করা মানুষের রয়েছে পেটের দায়। শ্রমজীবীরা জানালেন, পথটাই তাদের ঘরবাড়ি আর অর্থ আয়ের উৎস।
পথের ধারের একজন দোকানি বলেন, 'রাতের বেলা দোকান খুলি। হাসেঁর মাংস রান্না করি। আটটা বা ১০টা হাঁস রান্না করি প্রতিদিন। এটা বিক্রি শেষ হলে চলে যাই।'
ভ্যানে করে ভুট্টা বিক্রি করা একজন বলেন, 'শীতকালেই ভুট্টা চলে, গরমের দিনে তার আর এটা চলে না।'
শীতের রাতের শোভা অনুপম। ঘন কুয়াশার আবরণে গাছপালা অস্পষ্ট মনে হয়। অপূর্ব তার রূপ মাধুরী অনিন্দ্য সুন্দর। তাই অনেকেই বললেন, এই রাত ভারী উপভোগ্য।
রাতে ঘুরতে বের হওয়া একজন বলেন, 'শীতে ভালো লাগে দেখে ৩০০ ফিটের রাস্তায় এসেছি। ছেলে, মেয়ে, মেয়ের জামাই নিয়ে এসেছি ঘুরতে।'
আবহাওয়া অফিসের তথ্য বলছে, ঢাকায় শীত পুরোপুরি অনুভূত হতে পারে মধ্য ডিসেম্বরে। পৌষ ও মাঘেও সে তার হিমেল চাদর বিছিয়ে রাখবে তিলোত্তমা ঢাকার বুকে। তখন বাংলার এই পাতাঝরার মৌসুমে বৃক্ষরাজি পাতা ঝরিয়ে নতুন রূপে সেজে ওঠার প্রস্তুতি নেবে।