ব্রিফিংয়ে বন্যা পরিস্থিতি ক্ষয়ক্ষতি ও সার্বিক চিত্র তুলে ধরেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে সচিব মো. কামরুল হাসান।
তিনি বলেন, 'দেশে ১১টি জেলার ৭৭টি উপজেলা বন্যায় কবলিত হয়েছে। মোট ৮ লাখ ৮৭ হাজার ৬২৯টি পরিবার এবং ৪৪ লাখ ৯৭ হাজার ৫৩৫ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।'
কামরুল হাসান বলেন, 'তিন হাজার ১৬০টি আশ্রয় কেন্দ্রে এক লাখ ৮৮ হাজার ৭৩৯ জনকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। এর সঙ্গে ১৭ হাজার ৮৪৮টি গবাদি পশুকেও আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে।'
বন্যা কবলিত ১১টি জেলায় ত্রাণ সহায়তা দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'জেলাগুলোতে ত্রাণ হিসেবে নগদ তিন কোটি টাকা, ২০ হাজার ১৫০ টন চাল ও ১৫ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার দেয়া হয়েছে।'
বন্যায় দু'জন নারীসহ ১৩ জন নিহত হয়েছে বলেও জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের এই সচিব।
তিনি জানান, চট্টগ্রাম জেলার জন্য ৩৫ লাখ নগদ টাকা ও এক হাজার ৬০০ টন চাল, কুমিল্লার জন্য ৪৫ লাখ টাকা ও দুই হাজার ৬০০ টন চাল, ফেনীর জন্য ৬২ লাখ টাকা, দুই হাজার ৯০০ টন চাল ও ছয় হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, নোয়াখালীতে ৪৫ লাখ টাকা ২ হাজার ৬০০ টন চাল ও এক হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, লক্ষীপুরে ১০ লাখ টাকা ও ৫০০ টন চাল, খাগড়াছড়িতে ১০ লাখ নগদ টাকা ও ৫০০ টন চাল, কক্সবাজারে ২০ লাখ নগদ টাকা ও ৫০০ টন চাল দেয়া হয়েছে।
এছাড়া সিলেটে নগদ ৪৫ লাখ টাকা, দুই হাজার ৬০০ টন চাল ও চার হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, মৌলভীবাজার নগদ ৩০ লাখ টাকা, দুই হাজার ৩৫০ টন চাল ও এক হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, হবিগঞ্জে ৩৫ লাখ টাকা, দুই হাজার ৪০০ টন চাল ও তিন হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৫ লাখ টাকা ও এক হাজার ৬০০ টন চাল ত্রাণ দেয়া হয়েছে বলেও জানান সচিব মো. কামরুল হাসান।