বরিশালে শৈত্যপ্রবাহ বইছে, সাথে ঘন কুয়াশাও রয়েছে। আর এ সময়ে বেশি সংকটে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। এছাড়া শীতজনিত রোগে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন অনেকে।
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের কাশীপুর এলাকা, ঘন কুয়াশায় দৃষ্টিসীমা একেবারে কমে গেছে। অল্প দূরের সবকিছু অস্পষ্ট। থ্রি হুইলার, বাস, ট্রাক ও মোটরসাইকেল হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে। তীব্র শীতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছেন খুব কম মানুষ। তবে এর মধ্যেও বাধ্য হয়ে নিম্ন আয়ের মানুষ কাজের সন্ধানে বের হচ্ছেন।
কাজের অপেক্ষায় নিম্ন আয়ের মানুষ। ছবি: এখন টিভি
দিনমজুররা বলেন, ‘শীতে আমাদের খুব কষ্ট হচ্ছে। তীব্র শীতে কাজ করা যাচ্ছে না। এজন্য আয়-উপার্জনও বন্ধ হয়ে গেছে।’
শীতে বেশি কষ্ট পাচ্ছেন শিশু ও বয়স্করা। প্রচণ্ড ঠান্ডায় বরিশালে গত বৃহস্পতিবার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলে পাঠদান বন্ধ ছিলো।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘সকাল ৮টায় আমাদের ক্লাসে উপস্থিত হতে হয়। শীতের মধ্যে কষ্ট করে আসতে হয়।’
এদিকে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার সাহা বলেন, ‘মা-বাবাদেরকে বলবো, বাচ্চাদেরকে নিয়ে বাইরে বের হবেন না। এছাড়া শিশুদের বাড়তি যত্ন নিতে হবে।’
বরিশালে ১১ হাজার ৭৩৯ হেক্টর এবং বিভাগে ৫১ হাজার ৭৪ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজির আবাদের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এদিকে জেলায় ৬৩ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে এবং বিভাগে ২ লাখ ৫ হাজার ৮২ হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জমির মালিকরা বলছেন, শীতে সবজির যত্ন নেয়ার জন্য শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। শিশির ও কুয়াশায় ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। তবে কৃষি বিভাগ বলছে, ফসল রক্ষায় কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
এদিকে তীব্র শীতে বরিশালে বেড়েছে শীত বস্ত্রের চাহিদা। দাম কম হওয়ায় ফুটপাতে ভিড় করছেন নিম্ন আয়ের মানুষ ।
গত এক সপ্তাহ বরিশালে তাপমাত্রা ৯ থেকে ১১ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে ছিল। এ অবস্থা জানুয়ারি মাসজুড়ে থাকার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।