পৌষের শেষ প্রহর, মাঘের আগমনী বার্তা নিয়ে এসেছে ভারী বাতাস। ঘনকুয়াশার আবছা ছায়ার ঝাপসা চাদরে নগরে বের হয়েছে মানুষ। জানালেন একান্তই না বের হলে হতো না, প্রয়োজনের তাগিদে শীতকে উপেক্ষা করে তাই বাইরে বের হওয়া।
পেশাজীবনে, খেটে খাওয়া মানুষরা বলছেন, শীতের আড়মোড়া ভেঙে জীবন ও জীবিকার জন্য শীতের শীতল বাতাসকে সঙ্গী করে চলছে জনজীবন।
এদিকে আবহাওয়া অফিস বলছেন, চলমান আবহাওয়া আগামী ২ থেকে ৩ দিন অপরিবর্তিত থাকবে।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, ১৭ থেকে ১৮ তারিখ ঢাকাসহ দেশের কোথাও কোথাও বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেই সাথে বাড়তে পারে হিমশীতের বাতাস, আর শীতের তীব্রতাও।
এ মাসজুড়ে থাকবে শীত। শীতের অনুভূতি কমবে না। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে গেছে, যা এই মাসজুড়েই অব্যাহত থাকবে। মূলত সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমে গেলেই শীতের অনুভূতি বেশি মনে হয়।
দিনের শুরুতে প্রথমে নওগাঁর তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস। পরে তা পরিবর্তন হয়ে আরও কমে গিয়ে দিনাজপুরের তাপমাত্রা দাঁড়ায় ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াসে।
তবে ঢাকা বিভাগের গোপালগঞ্জ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। সেক্ষেত্রে ঢাকায় মৃদু শৈত্য প্রবাহ বইছে এটি বলা যাবে না। তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াসে থাকলে মৃদু বলা যেত।