সারাদেশে ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের ডামোডোল চলছে। প্রথম ধাপের নির্বাচন শেষে এবার সবার দৃষ্টি দ্বিতীয় ধাপের দিকে। এই ধাপে ১৫৭টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত আগামী মঙ্গলবার।
দ্বিতীয় ধাপে যারা প্রার্থী হয়েছেন, তাদের হলফনামা বিশ্লেষণ করে আজ (রোববার, ১৯ মে) রাজধানীর ধানমণ্ডির কার্যালয়ে বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ করে টিআইবি। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ৫ বছর আগের উপজেলা নির্বাচনের তুলনায় দ্বিতীয় ধাপের ভোটে কোটিপতি প্রার্থীর সংখ্যা তিনগুণ বেড়েছে। কারো কারো আয় ১১ হাজার শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। এছাড়া চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীদের ৭১ শতাংশই ব্যবসায়ী।
ব্যবসায়ীরা নির্বাচনকে বিনিয়োগ হিসেবে দেখছেন মন্তব্য করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘জনপ্রতিনিধিরা নিজের পদকে আয় ও সম্পদ বিকাশের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছেন। ফলে জনস্বার্থের বিষয়টি উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে।’
উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে তিন পদে সবমিলিয়ে ১ হাজার ৮১১ জন প্রার্থী হয়েছেন। এর মধ্যে ঋণগ্রস্ত ৪৬২ জন। এছাড়া ১৩ দশমিক এক তিন শতাংশ প্রার্থী বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত বলে জানিয়েছে টিআইবি।
টিআইবির সংবাদ সম্মেলনের পর নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিবালয়ে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। হলফনামা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোনো প্রার্থী হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিলে তার বিরুদ্ধে যে কেউ সংক্ষুব্ধ হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করতে পারেন।
উপজেলা নির্বাচন বর্জনের ডাক দিয়ে বিএনপির লিফলেট বিতরণ, তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে না আসাও ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার একটি বড় কারণ ।
প্রথম ধাপের নির্বাচনের চেয়ে দ্বিতীয় ধাপের ভোট ভালো হবে জানিয়ে ইসি মো. আলমগীর বলেন, বিএনপির রাজনৈতিক দাবি মেটানোর ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের নেই।