একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনীর ৩টি সংসদীয় আসনে ভোটার ছিল ১০ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭১ জন। তবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ ৩৯ হাজার ৯৩৫ জনে। যা গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তুলনায় ১৫ দশমিক ছয় দুই শতাংশ বেশি।
নিজেদের অধিকারের পাশাপাশি দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি নিয়েও সচেতন জেলার তরুণ ভোটাররা। কর্মসংস্থান, শিক্ষা, গবেষণায় সুস্পষ্ট অঙ্গীকার চান তারা। নতুন ভোটাররা জানান, 'ভোটার হওয়ায় আমরা উচ্ছ্বসিত। মেন্টরের সাথে যদি আমরা গবেষণার সুযোগ পাই তাহলে নতুন নতুন উদ্ভাবনীর ধারণাগুলো বাংলাদেশে সম্প্রসারিত করা সম্ভব। নির্বাচিতরা তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগাবেন।'
নতুন সরকার শিল্পায়নে গুরুত্ব দিবেন এমন প্রত্যাশাও রয়েছে নবীন ভোটারদের মাঝে। তথ্য প্রযুক্তি ও তারুণ্য নির্ভর ইশতেহারও আশা করছেন ভোটাররা। ভোটের মাধ্যমে মতামত প্রকাশ করার সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না এই তরুণরা। প্রার্থীর কাছ থেকে তারুণ্যনির্ভর ইশতেহার চান তারা।
অগ্রসরমান এ জনপদের সম্ভাবনাকে সামনে রেখে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলছেন বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা। ফেনী-০১ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম বলেন, 'ফেনী-বিলনিয়ার রেলপথ পুণরায় চালু করে পণ্য পরিবহনে সংযোগ স্থাপন করতে পারলে অনেক ফলপ্রসূ হবে।'
ফেনী ০২ আসনের তৃণমূল বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আমজাদ হোসেন ভূঞাঁ সবুজ এখন টিভিকে জানান, 'নির্বাচিত হতে পারলে শিল্প বন্দর শহর হিসেবে গড়ে তোলার পাশাপাশি লালপোলে একটা ফ্লাইওভার করার পরিকল্পনা আছে।'
এই আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী নিজাম উদ্দিন হাজারী বলেন, 'সোনাগাজী এবং মিরেরসরাই বঙ্গবন্ধু অর্থনৈতিক অঞ্চল। আগামীতে এখানে অনেক শিল্প কারখানা গড়ে উঠবে।'
এই জনপদের এক পাশে বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম, আরেক পাশে ভারত মাঝখানে দেশের লাইফ লাইন খ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। প্রবাসী অধ্যুষিত হওয়ায় রেমিট্যান্স আয়ে অন্যতম এই জেলা।