সংস্কৃতি ও বিনোদন , সাহিত্য
শিক্ষা
0

পাহাড়ে শিক্ষার প্রসার করতে সেনাবাহিনীর স্কুল নির্মাণ

হারিয়ে যেতে বসেছে পার্বত্য জেলা বান্দরবানের ম্রো সম্প্রদায়ের রেংমিটচা ভাষা। তবে বিলুপ্তপ্রায় এ ভাষা সংরক্ষণ ও পাহাড়ে শিক্ষার মানোন্নয়নে আলিকদমে স্কুল নির্মাণ করেছে সেনাবাহিনী। স্থানীয়রা মনে করছেন এ উদ্যোগের মাধ্যমে ভাষা রক্ষার পাশাপাশি উন্নত হবে পাহাড়ে শিক্ষার পরিবেশ।

মনের ভাব প্রকাশের অন্যতম প্রধান মাধ্যম ভাষা। তবে চর্চার অভাবে সেটি কখনও কখনও হারিয়ে যায়। বিশ্বে এমন উদাহরণ অনেক। বর্তমানে হুমকিতে আরেকটি ভাষা। রেংমিটচা হারিয়ে যেতে বসেছে সংরক্ষণের অভাবে।

বান্দরবানের আলী কদম উপজেলার দুর্গম ক্রাংসি পাড়া। একসময় এ পাড়ায় অনেকে রেংমিটচায় কথা বলতো। তবে কালের বিবর্তনে এখন এ ভাষা ব্যবহার করেন মাত্র ৭ জন। আর বাকিরা ব্যবহার করছেন ম্রো ভাষা।

রেংমিটচাভাষী পরিবারগুলো বিভিন্ন জায়গায় চলে যাওয়ায় ও চর্চা না থাকায় এমন দশা। তাই বিলুপ্ত এ ভাষা সংরক্ষণ ও পাহাড়ে শিক্ষার মান উন্নয়নে দুর্গম ক্রাংসি পাড়ায় স্কুল নির্মাণ করেছে সেনাবাহিনী।

দূর্গম পাহাড়ে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সেনা সদস্যরা। ছবি: এখন টিভি

স্কুলটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সেনাবাহিনীর বান্দরবান রিজিয়ন কমান্ডার। আর নিজেদের মাতৃভাষা শেখার স্কুল নির্মিত হওয়ায় খুশি স্থানীয়রা। বলেন, সেনাবাহিনী থেকে একটা স্কুল দিল, এতে খুব উপকার হবে। আমরা অনেক খুশি। এখন বাচ্চারা লেখাপড়া করতে পারবে।

স্কুলটির মাধ্যমে দুর্গম এলাকায় শিক্ষা বিস্তারের পাশাপাশি রেংমিটচা সম্প্রদায়ের বাসিন্দারা নিজেদের মাতৃভাষা শিখতে পারবে।

৬৯ পদাতিক ডিভিশনের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, 'এ অঞ্চলে যারা শিক্ষার সুবিধা থেকে দূরে রয়েছে তাদের জন্য শিক্ষা গ্রহণ করা অনেক সহজ হবে। তাদের ভাষাটাও বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা পেয়ে বিস্তার লাভ করবে।'

সেনাবাহিনীর নির্মিত স্কুলটিতে বিভিন্ন বয়সের ম্রো শিক্ষার্থী রয়েছে ৫৩ জন।